জাতিসংঘ প্রকাশিত সাম্প্রতিক জেন্ডার সোশ্যাল নর্মস ইনডেক্সে অবাক করা কিছু ফল সামনে এসেছে। এই ইনডেক্সের তথ্য নিয়েছে ওয়ার্ল্ড ভ্যালুজ সার্ভে (ডব্লিউভিএস) নামের একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ প্রোগ্রাম থেকে। যা বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যার দেশ ও অঞ্চলগুলো থেকে ডেটা মূল্যায়ন করে প্রাপ্ত ডেটার উপর ভিত্তি করে ফল প্রকাশ করে।
‘লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক রীতিনীতি পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এখনও প্রচলিত’ এমন তথ্য উঠে এসেছে ২০১০-২০১৪ ও ২০১৭-২০২২ সালের সংগ্রহ করা ডেটায়। প্রায় ৯০ শতাংশ লোক যেকোনো একটি জেন্ডার বায়াস বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্বে ভোগেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করে নারীদের থেকে পুরুষ ভালো রাজনৈতিক নেতা হতে সক্ষম। মাত্র ২৯ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন গণতন্ত্রে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার থাকা জরুরি।
চাকুরীতে নারীদের থেকে পুরুষদের বেশি অধিকার থাকা উচিৎ বলে মনে করে ৪৬ শতাংশ মানুষ এবং নারীদের থেকে পুরুষরা ভালো বিজনেস এক্সিকিউটিভ হওয়ার সক্ষমতা রাখে বলে মনে করে ৪৩ শতাংশ মানুষ।
শিক্ষার ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ মানুষ মনে করে নারীদের থেকে পুরুষদের ইউনিভার্সিটিতে পড়া বেশি জরুরী। পুরুষদের তাদের স্ত্রীকে মারা ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করেন ২৫ শতাংশ মানুষ। অ্যাবরশন কোন অবস্থাতেই যুক্তিসংগত নয় বলে মনে করেন ৫৮ শতাংশ মানুষ।
এই বায়াস বা পক্ষপাত নারীদের জন্য ‘প্রতিবন্ধকতা’ তৈরি করে। বিশ্বের বহু জায়গায় এজন্য নারী অধিকার কার্যকরী হয় না এবং লিঙ্গ সমতার বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করে। একই সঙ্গে কিছু দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি পায়।
ইউএনডিপির হিউম্যান ডেভলপমেন্ট রিসোর্স অফিসের পরিচালক পেদ্রো কনসেইসাওয়ের মতে, ‘যে সব সামাজিক প্রথা নারীর অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতিকর। এগুলো মানুষের উন্নয়ন কমিয়ে দেয়।’