প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্যকে সম্পদে পরিণত করেছে জ্যামাইকার সরকার। দেশটির পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট।
করোনা মহামারীতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দেশটির পর্যটন শিল্প। জ্যামাইকার সাগরতীর জনশূন্য হয়ে যায়।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদন বলছে, করোনাকাল কাটিয়ে পর্যটকরা এ বছর ফের পাড়ি জমিয়েছে জ্যামাইকায়। কিংস্টন, মন্টেগো বে, নেগ্রিল শহর তাদের পদচারণায় মুখর। শতভাগ চাঙা হয়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসা।
দেশটির পর্যটন মন্ত্রী এডমন্ড বার্টলেট জানান, পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে মন্টেগো বে’র স্যাংস্টার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো সেখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তবে দ্রুতই সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বার্টলেট।
পার্লামেন্টে সাম্প্রতিক অধিবেশনে মন্ত্রী জানান, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জ্যামাইকায় প্রায় ১.১৮ মিলিয়ন পর্যটক এসেছেন। ২০২২ সালে একই সময় থেকে তা ৯৪ ভাগ বেশি। এমনকি আগের সব পর্যটন মৌসুমের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের এই সংখ্যা।
বার্টলেট বলেন, ‘আমরা যা আশা করেছি তার চেয়েও দুর্দান্তভাবে সামলে উঠেছি। পযটন শিল্প আবার আশার আলো দেখছে। তবে বিমানবন্দরের এই সংকট বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এখন আছে। বেশিরভাগ কর্মীরা করোনাকালের পর কাজে যোগ দেয়নি। ‘
তিনি জানান, পর্যটকদের ভোগান্তি কমাতে ও কাগজপত্রের কাজ কমাতে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়ার কথা ভাবছে।
জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস জানিয়েছেন, স্যাংস্টার বিমানবন্দরকে আধুনিক ও সম্প্রসারিত করতে এরইমধ্যে ৭০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ক্যারিবিয়ার সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ত এই বিমানবন্দরটি নতুন রূপ পাবে।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনার বিষয়ে বার্টলেট বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রে বছরে ৫ মিলিয়ন পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা আছে।