সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য একটি সুষ্ঠু বাজেট সম্ভব কিনা। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন,' সব খাতে ভর্তুকি দিতে গিয়ে বাজেটে বিপদ ফেলা হচ্ছে… ‘পৃথিবীর কোনো দেশে আর এরকম দেয় না। জ্বালানি, বিদ্যুৎ… বিদ্যুতে ভর্তুকি দিয়ে লাভ কে বেশি পায়? যে সবথেকে বেশি এয়ার কন্ডিশন চালায় থাকে তার লাভ হয়। আমার গরিব মানুষের তো লাভ হয় না। তারা তো কত ওয়াট পর্যন্ত এমনিই পায়, ফ্রি…'
‘আসলে লাভবান তো হচ্ছে বিত্তশালীরা। একটার জায়গায় দুইটা এয়ার কন্ডিশন চালাচ্ছে… এসব চালাচ্ছে। অথচ আমাদেরকে বিরাট অংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এখন সমস্ত জায়গায় জ্বালানি তেল পরিবহন এত বেড়ে গেছে, এটাতো টানা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমরা এখন যেটা করেছি ইনফ্লেশনের সঙ্গে প্যারেট এডজাস্ট… এটা অটোম্যাটিক যাতে হয়, আমরা আইন করে দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে আমরা সেটাই করব। যে দামে উৎপাদন হবে সেই দামেই কিনতে হবে। যে যতটুকু পারবেন কিনবেন, যে যতটুকু পারবেন ব্যবহার করবেন। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে এসব জায়গায় ভর্তুকি দেয়ার তো কোনো যুক্তি দেখি না। এটা হলো বাস্তবতা।’
বাজেটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফের ঋণের প্রভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফ লোন পরিশোধে বাংলাদেশ সক্ষম। যাদের ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই আইএমএফ তাদের লোন দেয় না। সুতরাং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের ভর্তুকি কমাতে হবে।’