অ্যাসাইলামের পর ওয়ার্ক পারমিট বাতিল, কী করবেন?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৮ ২০২৫, ২৩:০৫

নানা কারণে বাতিল হতে পারে ওয়ার্ক পারমিট। ছবি: অ্যাকসেপ্ট অ্যামেরিকা ডটকম

নানা কারণে বাতিল হতে পারে ওয়ার্ক পারমিট। ছবি: অ্যাকসেপ্ট অ্যামেরিকা ডটকম

  • 0

‘আপনি আপনার পুরোনো লইয়ারের সাথে কথা বলেন। পুরোনো লইয়ারের কাছে না যেতে চাইলে নতুন লইয়ার হায়ার করুন। এটা ইন্ডিপেনডেন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে।’

অ্যামেরিকায় অ্যাসাইলাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট বাতিলের শিকার হওয়া নতুন নয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে করণীয় কী, তা টিবিএন অ্যনালাইসিস অনুষ্ঠানে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন এক ব্যক্তি। তার সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা অতিথি মোহাম্মদ এন. মজুমদার।

দর্শক: আমি ২০১২ সালে অ্যামেরিকায় আসছি। আমি অ্যাসাইলাম সিক করি এবং ২০১৬ সালে আমার অ্যাসাইলামটা অ্যাম্বাসিতে ক্লোজ হয়ে যায়। এরপরে আবার আমার উকিল যেভাবেই হোক, ওয়ার্ক পারমিট আবার বের করে। ২০১৮ সালে ওয়ার্ক পারমিট আবার ডিনাই হয়ে যায়। এখন আমি এ অবস্থায় আছি। আমার করণীয় কী?

মোহাম্মদ এন. মজুমদার: এটা কিন্তু ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট কোশ্চেন ভাই করেছে। এই ধরনের যাদের কেইস, প্রসিকিউটোরিয়াল ডিসক্রেশন বলা হয় বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভলি ক্লোজ হইছে, এই কেইসগুলো পুনরায় ওপেন করবে। ওপেন করে তাদের (অভিবাসী) ডিপোর্ট (বিতাড়ন) করা হচ্ছে। এটা অনেকটা ওপেন সিক্রেট এবং এদের (অভিবাসী) কাছে চিঠি যাচ্ছে যে, সরকারি উকিল চিঠি দেবে যে, উই আর ফাইলিং এ মোশন টু রিওপেন ইউর কেইস অ্যান্ড উই উইল কল ইউ। সো আপনার ক্ষেত্রেও সেম থিং।

আপনি আপনার পুরোনো লইয়ারের সাথে কথা বলেন। পুরোনো লইয়ারের কাছে না যেতে চাইলে নতুন লইয়ার হায়ার করুন। এটা ইন্ডিপেনডেন্টলি আপনাকে কথা বলতে হবে। যাদের কেইস ২০১৫ সালের আগে, লাস্ট টাইম প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতায় আসার আগে অনেক কেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভলি ক্লোজ হইছিল এবং জো বাইডেনের সময় এটাকে বলা হয় পিডি (প্রসিকিউটোরিয়াল ডিসক্রেশন)। অর্থাৎ, অনেকের কেইস অনেক দিন ধরে চলতেছে। দেখা যায় কেইস ভালো না। তো জাজ এটাকে হোয়েদার ডিপোর্টেশন (বিতাড়ন) দিতে পারবে অথবা জাজ যদি করুণা করে তাকে কেইস ক্লোজ করে দিছে। অর্থাৎ, তুমি আগের অবস্থায় ফিরে গেছো। তোমার কেইস-টেইস কিছু নাই। মায়া করছে বলতে হবে। জাজেরা তাকে সিমপ্যাথি দেখায়া এভাবে করছে।

এটার জন্য ডিরেকটিভ অর্ডার ছিল হোয়াইট হাউস থেকে, প্রেসিডেন্ট থেকে যে আমাদের লোকজনকে যারা কোয়ালিফাই করবে না, অ্যাসাইলাম অ্যাপ্রুভ হবে না, তুমি অন্তত তাকে রিফিউজি হিসেবে রেখে দাও ওইখানে। দেশে পাঠাইও না।

বর্তমান প্রশাসন যেমন একটা ডিরেকটিভ অর্ডার দেয়, এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেয়, অল প্রশাসনেই কেন্দ্রীয় থেকে কিছুটা ডিরেকটিভ অর্ডার থাকে। অনেক সময় এটা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আসে, অনেক সময় হোয়াইট হাউসের মেমোরেন্ডাম হিসেবে থাকে। আবার হোয়াইট হাউসে কোন সুরে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট, ওই সুরে অনেকে, পাবলিক সার্ভেন্টরা রিঅ্যাক্ট করেন। কিছু কিছু জাজ আছেন, তারা সেটা কেয়ার করেন না, বাট মোস্ট অব দ্য টাইম, যারা অ্যাডজুডিকেশন অফিসার, লো লেভেল জাজেরা, দে অনার ইট অ্যা লট। সো এটা হলো জুডিশিয়ারির একটা সিক্রেট।

তো জো বাইডেনের আমলে প্রচুর পিডি পেয়েছে। পিডি মিন্স, বিষয়টা ছিল এ রকম, কেইসটা এত যে নিম্ন মানের লেখা হয়েছে, নিম্ন মানের ক্লেইম, ক্লেইমটা কোয়ালিফাই করে না। যেমন অ্যাসাইলাম ফাইল করতে গেলে কতগুলা ক্রাইটেরিয়া লাগে। বর্ণ, গোত্র, জাতি, ধর্ম। কীসের ভিত্তিতে আপনি চাইছেন, এটা স্পেসিফাই করতে হয়। অনেকে ফরমটা এনে ফিলআপ করছে। জ্যাকসন হাইটসে কেউ ফরম ফিলআপ করে দিছে। সাথে সাথে ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেছে। সবাই খুশি।

আর বর্তমান অবস্থা হচ্ছে যে, অ্যাসাইলাম করতে গিয়ে ধরা পড়ে। অ্যাসাইলাম হিয়ারিংয়ে গিয়া যখন জাজ দেখতেছে যে, তার অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন নট আন্ডার দ্য ফার বি। অর্থাৎ কোনো ক্রাইটেরিয়া মিট করে নাই। এটাকে বলে সামারিলি ডিসমিস। এটা বহু পুরোনো আইন।

যদি দেখে যে, যেটা ফাইল করছেন আপনি, ইট হ্যাজ নো স্ট্যান্ডিং, নো ভ্যালু, ইট ডিড নট মিট এনি ক্রাইটেরিয়া, ধরেন আপনি এমন একটা পরীক্ষার উত্তর দিছেন, যেটাতে কিছুই নাই, জিরো, তাহলে আপনাকে এখানে দেওয়ার কিছুই নাই। দেয়ার ইজ নো রিলিফ অ্যাট অল।

ওই ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন জাজ যদি মনে করে, তাকে আপিলের সুযোগ দেওয়া হবে না, তাকে ডিসমিস…ডিসমিস শব্দটা কিন্তু ডিনাই করা, রিজেক্ট করার চাইতে আরও মারাত্মক। তো ডিসমিস মিন্স ইউ হ্যাভ নাথিং। আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) ক্যান অ্যারেস্ট ইউ। সে জন্য ডো নট টেইক গার্বেজ দেয়ার।

ইউ হ্যাভ টু টেই অ্যা রিয়েল কেইস। যদি আগে কেইস ফাইল করে কোনো স্টেইটমেন্ট জমা না দেন, নিয়ম ছিল এ রকম, লইয়াররা বারবার সবাইকে বলতেছে, ও তাড়াহুড়া করতেছে, ফরমটা দিয়ে দাও। স্টেইটমেন্ট পরে দেওয়া হবে।

আগে ছিল পিডি। এখন পিডি টোটালি নাই। আগে ছিল রিফিউজি স্ট্যাটাস। টোটালি নাই। ইউ ইদার অ্যাপ্রুভ ইট অর ডিসমিস ইট।