বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি হবে অন্যান্য অঞ্চলেও। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। 

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সিলেট জেলাসহ ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় কমতে পারে। 

আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে তেমন বৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশে বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার কুতুবদিয়ায় সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।

ঢাকায় বৃজস্পতিবার দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৬ শতাংশ।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ উপকূলে ঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্যকক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।