সৌদির সঙ্গে মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ঈদ

টিবিএন ডেস্ক

জুন ২৮ ২০২৩, ১৮:১৮

ছবি: ইউএনবি

ছবি: ইউএনবি

  • 0

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে।

বরিশাল মহানগরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। সকালে অর্ধশতাধিক মসজিদে ঈদুল আজহার আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আগাম ঈদ উদযাপনকারীরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।

পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিলিয়ে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করেন।

বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠী হাজিবাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন বলেন, ‘২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করেছি।

‘আমরা হাজিবাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজ পড়েছি। আমরা সবাই চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী।’

বরিশাল নগরীসহ জেলার ৫০টি মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা বুধবার ঈদের নামাজ পড়েছেন বলে জানান আমির হোসেন।

নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু জানান, এই ওয়ার্ডের প্রায় এক হাজার পরিবার অগ্রীম ঈদ উদযাপন করেছেন। নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড ও দপদপিয়া এলাকারও পাঁচশতাধিক পরিবার ঈদ উদযাপন করেছেন।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা গ্রামের আব্দুর রশীদ শিকদার স্মৃতি জামে মসজিদের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, বাবুগঞ্জের খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের এক হাজারের বেশি পরিবারে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

এছাড়া বাবুগঞ্জের মাধবপাশা দুয়ারীবাড়ি জামে মসজিদে আরেকটি ঈদের জামাত হয়েছে।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী মমিন উদ্দিন কালু বলেন, জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামের চন্দনাইশ দরবারের প্রায় দুই হাজার অনুসারী রয়েছেন।

তারাও বুধবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

অন্যদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদর এবং চিরিরবন্দরসহ ছয়টি উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন।

দিনাজপুরে আলাদা জামাতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে প্রায় দুই হাজার অনুসারী পরিবার। পরে দেয়া হয় পশু কোরবানি।

দিনাজপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নামাজে ইমামতি করেন চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।

এছাড়া চিরিরবন্দরের সাইতাড়া রাবার ড্যাম কাহারোলের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল গড়েয়া বোচাগঞ্জের তেতরায়, বিরলের ভাড়াডাঙ্গী গ্রামে এবং বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদ জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েক শ’ পরিবার ঈদুল আজহান নামাজ আদায় করেছে।

পরে সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানির দেন তারা।

এছাড়া, দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লি আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়।

উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর মসজিদে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় এবং একই সময়ে আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের ১৪০ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে আল আমিন জামাতের ইমামতি করেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন