মণিপুরের ইস্ট ইম্ফলের পুলিশ সুপারকে শিবকান্ত সিংহ জানান, মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
মণিপুরের বাসিন্দাদের বড় অংশই মেইতেই জনগোষ্ঠীর। ইম্ফল ও লাগোয়া সমতল এলাকায় তাদের বসবাস। পাহাড়ি এলাকায় থাকেন কুকিরা। মেইতেইরা আদিবাসী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তারা পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারে না। তবে কুকিরা সমতলে জমি কিনতে পারে।
এবার মেইতেই জনগোষ্ঠী তফসিলি জাতিভুক্ত হয়ে গেলে তারাও পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারবে, আর এটাই কুকিদের অসন্তোষের কারণ।
কুকিদের দাবি, রাজ্যের এন বীরেন সিংহের সরকার তাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। মেইতেইদের তফসিলি জাতিভুক্ত করার উদ্যোগের বিরোধিতার পাশাপাশি আরও একটি কারণে বিক্ষুব্ধ কুকিরা।
মণিপুরের পাহাড়ি এলাকায় কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেই পাহাড়ি এলাকায় সংরক্ষিত বন থেকে কুকি বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। তবে এ জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে কুকিদের।
এসব নিয়ে উত্তপ্ত মণিপুরে ৩ মে থেকে কুকু ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, এলাকাটিতে নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ অস্ত্রের তল্লাশি চালানোর সময় মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে দাঙ্গা শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যটিতে অবৈধ অস্ত্রের তল্লাশি করতে ফেডারেল সিকিউরিটি ফোর্স রিইনফোর্সমেন্ট পাঠানো হয়েছে।