ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বৃষ্টিতে তলিয়েছে নয়াদিল্লির কিছু এলাকা। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ১০ জনের, নয়াদিল্লিতে একজন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
হিমালয়ের পর্যটন রাজ্য উত্তরাখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বৃষ্টির প্রভাবে ভূমিধসে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এলাকাবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের থেকে বের না হতে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশে সেতু ও ঘরবাড়ি ভেসে গেছে পানির তোড়ে। পানিবন্দীদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, সারা দেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে উত্তরাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেশি পাকিস্তানও মৌসুমি বৃষ্টির কবলে পড়েছে। সেদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের নিম্নাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। নারওয়াল ও শিয়ালকোটের গ্রামগুলো থেকে রাতারাতি ১৫০ জনেরও বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে।
পাকিস্তানে গত ২৫ জুন থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়।