তবে এই আক্রমণ কোন পর্যায়ে আছে এবং তা কোন কোন অঞ্চলে হচ্ছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখন প্রকাশ করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার ঘটনায় রাশিয়া দাবি করে আসছিল যে এতে ইউক্রেইন জড়িত। তবে সেদেশের কর্তৃপক্ষ বরাবরই এর দায় এড়িয়ে গেছে। এবার ইউক্রেইনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় প্রকাশ্যে পাল্টা হামলার কথা স্বীকার করলেন প্রেসিডেন্ট যেলেনস্কি।
পূর্বে বাখমুত ও দক্ষিণে জাপোরিঝজিয়ার কাছে ইউক্রেইন সেনারা বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। সেসব এলাকায় রাশিয়ান সেনাদের লক্ষ করে তারা দূরপাল্লার হামলা চালিয়েছেন।
তবে ফ্রন্টলাইনে ঠিক কী ঘটছে সেটি স্পষ্ট নয়। সেখানকার পরিস্থিতির বিষয়ে দুই পক্ষ বিপরীতমুখি দাবি করেছেন। ইউক্রেইনের দাবি, তাদের অগ্রগতি হয়েছে। আর রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেইনের সব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেইন সেনারা তাদেরআক্রমণ শুরু করলেও তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বহু সেনা হতাহত হয়েছেন।
পুতিনের এ বক্তব্যকে ‘চমকপ্রদক’ বলে অভিহিত করেছেন যেলেনস্কি। তিনি শনিবার ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনার পর কিয়েভে বলেন, ‘রাশিয়া বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘পুতিনকে বলেন যে ইউক্রেইনের সামরিক সেনারা ইতিবাচক মেজাজে আছে।’
অঘোষিত সফরে ইউক্রেইন গিয়ে ট্রুডো দেশটির জন্য ৫০০ মিলিয়ন ক্যানাডিয়ান ডলার সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোটের শর্ত পূরণ করলে নেইটো সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেইনকে সমর্থন দেবে ক্যানাডা।