
বাঙ্কার থেকেই নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরির নাম ঘোষণা খামেনির

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২১ ২০২৫, ১১:৪৬ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ১২ ২০২৫, ১১:৫৭
.jpg)
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
- 0
ইরানের কর্মকর্তারা জানান, খামেনির ছেলে মোজতবা সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার জন্য মনোনীত তিন আলেমের মধ্যে নেই।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে হত্যার হুমকিতে রয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি সপরিবারে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
ইরানে গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি আলি খামেনিকে, তবে গোপন অবস্থান থেকেই তিনি বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমে।
ইতোপূর্বে গোপন অবস্থান থেকে ইরানের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ। সর্বশেষ তিনি নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে তিন আলেমকে মনোনীত করেছেন বলে জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তিন ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়াতুল্লাহ খামেনি উত্তরসূরি হিসেবে তিনজন জ্যেষ্ঠ আলেমের নাম ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েলের ক্রমাগত হত্যার হুমকির মুখে তিন দশক ধরে চলা শাসন ব্যবস্থায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তা এড়াতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানান, খামেনির ছেলে মোজতবা সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার জন্য মনোনীত তিন আলেমের মধ্যে নেই।
এর আগে খবরে বলা হয়েছিল, খামেনির মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য ছেলে মোজতবাকে প্রস্তুত করছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
তিন কর্মকর্তার ভাষ্য, খামেনি এরই মধ্যে ইসরায়েলের হাতে নিহত জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের জায়গায় নতুন কমান্ডারদের নিয়োগের কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার আশঙ্কায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এখন তার এক বিশ্বস্ত সহযোগীর মাধ্যমে তার কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
সতর্কতা হিসেবে তিনি সব ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ইরানের জরুরি যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত এসব কর্মকর্তা।
বাঙ্কারে থাকা খামেনি ভবিষ্যতে তার গুরুত্বপূর্ণ লেফটেন্যান্টদের মধ্যে কেউ নিহত হলে সামরিক কমান্ডের চেইন থেকে প্রতিস্থাপনের জন্য কমান্ডারদের বেছে নিয়েছেন।
গত শুক্রবার ইসরায়েল অতর্কিত হামলা শুরুর পর থেকে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিকে টিকিয়ে রাখতে ব্যতিক্রমী ও ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন খামেনি।
মাত্র এক সপ্তাহ পুরোনো হলেও ইসরায়েলি হামলাগুলো আশির দশকে ইরাকের হামলার পর ইরানের ওপর সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা। দেশটির রাজধানী তেহরানের ওপর এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মক।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে দেশটিকে লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গত এক সপ্তাহে ৪৩০ জন ইরানি নিহত ও তিন হাজার ৫০০ জন আহত হন।