ঋণসীমা বাড়ানোর বিল সেনেটে পাস হওয়ায় বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, বিপর্যয় এড়ানো গেছে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলকেই ধন্যবাদ জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘উভয়পক্ষই বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করেছে। উভয়পক্ষই তাদের কথা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন দলই এককভাবে যা চেয়েছিল তা পায়নি কিন্তু অ্যামেরিকান জনগণ তাদের যা প্রয়োজন তা পেয়েছে। আমরা একটি অর্থনৈতিক সংকট ও একটি অর্থনৈতিক পতন এড়াতে পেরেছি।’
বিলটিতে প্রেসিডেন্ট সই করলে ঋণখেলাপি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে অ্যামেরিকা। প্রেসিডেন্টের সইয়ের পর আইনে পরিণত হবে বিলটি। এতে করে অ্যামেরিকার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দূর হবে।
ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যাক্ট নামের বিলটি সেনেটে গত বৃহস্পতিবার ৬৩-৩৬ ভোটে পাস হয়। বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সেনেটরদের মতে, বিলটি কোনোভাবেই নিখুঁত নয়। তবে এখন দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে এটি পাস হওয়া জরুরি। চার জন ডেমোক্র্যাট, একজন স্বতন্ত্র ও ৩১ জন রিপাবলিকান এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
এটিকে আইন হিসেবে কার্যকর করতে হবে ৫ জুনের আগে। সেদিনই ঋণ শোধের শেষ দিন বলে এর আগে সতর্ক করেছিলেন ট্রেযারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন।
অ্যামেরিকা এখন ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণে আছে। সেটি শোধ করার সময়সীমা আগে ছিল ১ জুন। তবে ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছিল না। পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়সীমা চার দিন বাড়িয়ে দেন ট্রেযারি সেক্রেটারি।