মামলায় পেনির বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তার আইনজীবীরা বলছেন, গ্র্যান্ড জুরির সামনে জবানবন্দি দিতে প্রস্তুত পেনি। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গ্র্যান্ড জুরি জানায়নি। তার আগেই তাকে অভিযুক্ত করা হবে বলে আশা করাটা বোকামি।
ফৌজদারি অপরাধের মামলার আসামিদের গ্র্যান্ড জুরির সামনে জবানবন্দি দেয়ার ঘটনা বিরল। পেনির আইনজীবীরা জানান, এক্ষেত্রে পেনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন।এতে তিনি ঠিক কোন পরিস্থিতিতে নিলির গলা চেপে ধরেছিলেন- তা পরিষ্কারভাবে জানাতে পারবেন।
ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস পেনিকে অভিযুক্ত করার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নিউ ইয়র্কের সাবওয়ের নর্থবাউন্ড এফ ট্রেনে গত ১ মে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়স জর্ডান নিলির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেদিন ট্রেনে নিলি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করছিলেন। এসময় তার গলায় জাপটে ধরেন পেনি। প্রায় ১৫ মিনিট তার গলা চেপে রাখা হয়। ট্রেনের অন্য দুই যাত্রী নিলির হাত-পা চেপে ধরেন। এতে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পেনির পক্ষ থেকে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নিলির ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা ছিল না পেনির। তিনি বুঝতেও পারেননি যে নিলির মৃত্যু হতে পারে।
সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার চার্জের বিষয়ে এর আগে প্রসিকিউটররা জানান, পেনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিলিকে হত্যা করেননি বলেই মনে হচ্ছে। তবে বেপরোয়াভাবে গলায় চেপে ধরা কারণে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের জেল হতে পারে পেনির।
কৃষ্ণাঙ্গ নিলি ছিলেন গৃহহীন। সাবওয়েতে তিনি সেদিক কাউকে আঘাত করেননি বলে দাবি পরিবার ও আইনজীবীর লেনন এডওয়ার্ডসের।
তারা জানান, মাইকেল জ্যাকসনের মতো সেজে সাবওয়েতে নেচে-গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন নিলি। ১৪ বছর বয়সে নিজের মায়ের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন সময় তিনি অনিয়ন্ত্রিত আচরণ করতেন। তবে ঘটনার দিন তিনি কারও কোনো ক্ষতি করেননি।