অ্যামেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা তথা অ্যাসাইলাম সিস্টেম বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টা শুক্রবার সীমিত করেছে ফেডারেল বিচারকদের একটি প্যানেল।
আদেশে প্যানেল বলেছে, নিপীড়নের শিকার হতে পারেন, এমন স্থানে অভিবাসীদের বিতাড়ন বারণ করে অ্যামেরিকার যে আইন আছে, তা একতরফাভাবে স্থগিত করতে পারে না প্রশাসন।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাসাইলাম সিস্টেম বন্ধের আদেশ দেন ট্রাম্প। সে আদেশকে কেন্দ্র করে বিচারকরা শুক্রবার আদেশ দেন বলে জানায় সিবিএস নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্পের আদেশের ওপর ভর করে অ্যামেরিকায় অবৈধভাবে আসা লোকজনকে তাৎক্ষণিকভাবে বের করে দিতে সক্ষম সীমান্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। ট্রাম্প এ আদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের দাবি, অভিবাসীদের ‘বহিরাক্রমণ’ মোকাবিলা করছে অ্যামেরিকা।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া সার্কিটের আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল জুলাইয়ের একটি আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। ওই আদেশে ফেডারেল এক বিচারক বলেন, ফেডারেল আইন অনুযায়ী, বিতাড়ন হলে ক্ষতির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে মানবিক সুরক্ষার আবেদন করতে চাওয়া অভিবাসীদের দাবি শুনতে হয় সরকারকে। ট্রাম্পের ঘোষণা সে আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ র্যানডলফ মস ওই আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাসাইলাম বন্ধের আইনি বৈধতা কেড়ে নেন।
ডিসি সার্কিটের বিচারকদের প্যানেল মসের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে, তবে মসের আদেশের পরিধিকে সীমিত করে দিয়েছেন এ তিন বিচারক।
তারা ট্রাম্পের আদেশ বহাল থাকার মধ্যে একটি শ্রেণির কোন কোন সদস্য আশ্রয়প্রত্যাশী হিসেবে সহায়তা পাবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেন।