পুতিনের কাছে যা চান আয়াতুল্লাহ খামেনি

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩ ২০২৫, ১৮:৫৬

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: ক্রেমলিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: ক্রেমলিন

  • 0

ইরানের সূত্রগুলো জানায়, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তেহরান। দেশটি ইসরায়েল ও অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে পুতিনের আরও ভূমিকা আশা করছে।

ইরানের তিন পরমাণু ক্ষেত্রে রবিবার শুরুর সময়ে অ্যামেরিকার হামলার পরের দিন সোমবার রাশিয়া সফরে যান ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় হামলা চালায় অ্যামেরিকা। সে হামলার পরপরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আরাকচিকে পাঠান আয়াতুল্লাহ খামেনি।

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা নিয়ে কথা বলেছেন। এমন কর্মকাণ্ড পশ্চিম এশিয়াকে আরও অস্থির করতে পারে বলে মনে করে রাশিয়া।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামেরিকার হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যদিও গত সপ্তাহে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

জ্যেষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পুতিনের কাছে খামেনির একটি চিঠি হস্তান্তরের কথা ছিল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচির। সে চিঠিতে পুতিনের সমর্থন চেয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

ইরানের সূত্রগুলো জানায়, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি তেহরান। দেশটি ইসরায়েল ও অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে পুতিনের আরও ভূমিকা আশা করছে।

আরাকচির বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএএসএস বা তাস জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান সমন্বয় করছে ইরান ও রাশিয়া।

ইরানের পুরোনো মিত্র রাশিয়া তেহরানের সঙ্গে পশ্চিমা শক্তিগুলোর পরমাণু আলোচনায় ভেটো প্রদানের ক্ষমতা রাখা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প যে চুক্তি থেকে সরে যায়, তাতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি রাশিয়া।

মস্কো তেহরানের মিত্র হলেও ইউক্রেনের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধে থাকা রাশিয়া ইরানের পক্ষ হয়ে অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে খুব বেশি আগ্রহ দেখায়নি। রাশিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক মেরামতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চেষ্টার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রুশ রাষ্ট্রপ্রধান।