নানাবিধ শারীরিক জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি জানায়, মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হাসপাতালে শাশুড়ির পাশেই আছেন ডা. জুবাইদা রহমান।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে, তবে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে একান্তই তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় দলটির নেতা-কর্মী ছাড়াও দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেনের বরাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বাসসকে বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ (সোমবার) রাতে মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠক রয়েছে। এর পরেই জানা যাবে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না।’
খালেদা জিয়াকে দেখতে জুবাইদা রহমান সোমবার বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার অংশ হিসেবে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ডা. জুবাইদা রহমান চিকিৎসক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন।’
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টিই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই যখনই মেডিক্যাল বোর্ড মনে করবে— তিনি সেইফলি ফ্লাই করতে পারবেন, তখনই তাঁকে বিদেশে নেওয়া হবে।’
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।