পরিকল্পনা সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন করলে ৪৩ মিলিয়ন অ্যামেরিকান লোন শোধের দায় থেকে মুক্তি পেতেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
করোনাকালের অর্থনৈতিক দুর্দশা বিবেচনায় ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ফেডারেল স্টুডেন্ট লোন শোধ স্থগিত রয়েছে, বন্ধ আছে সুদ গণনাও।
এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে বাইডেন প্রশাসন ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেয়া ঋণ মওকুফের পরিকল্পনা নেয়। তবে কয়েকটি বিচারিক আদালত এই পরিকল্পনা আটকে দেয়।
রিপাবলিকানরা এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করে। তাদের মতে, যেখানে অন্য ফেডালের লোন গ্রহীতাদের স্বস্তি দেয়ার মতো কোনো ধরনের সুবিধা নেই, সেখানে শুধু শিক্ষার্থীদের স্বস্তি দেয়ার পরিকল্পনা অন্যায্য।
স্টুডেন্ট লোন মওকুফের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২৫ হাজার ডলার বার্ষিক আয় আছে এমন অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেয়া ফেডারেল ঋণ মওকুফ করা হবে। আর নিম্ন-আয়ের পরিবারের পেল গ্র্যান্ট পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মওকুফ করা হবে ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত নেয়া ঋণ।
এই পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠের স্টেইট নেব্রাস্কা, আরকানসা, আইওয়া, ক্যানসাস, মিযৌরি ও সাউথ ক্যারোলাইনা। স্টেইট কর্তৃপক্ষের দাবি, এভাবে ঋণ মওকুফ করা হলে স্টেইট তহবিল অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটির নাম বাইডেন বনাম নেব্রাস্কা।
ঋণ মওকুফ পরিকল্পনার বিরোধিতায় ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনকে চ্যালেঞ্জ করেন মায়রা ব্রাউন ও অ্যালেক্সান্দ্রা টেইলর নামের দুই শিক্ষার্থী। সুপ্রিম কোট এই মামলাটিও আমলে নিয়েছে। এর নাম ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন বনাম ব্রাউন। দুই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বাইডেনের ঋণ মওকুফের মানদণ্ডে তারা পড়েন না, কারণ তাদের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার বা ২০ হাজার ডলারে পড়ে না।