প্রাচীন উদ্ভিদের পাতার বিন্যাসে ছিল না ফিবোনাচ্চির ‘গোল্ডেন রেশিও’

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৫ ২০২৩, ১৯:১১

সূযমুখী ফুলে ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্সের বিন্যাস। ছবি: সংগৃহীত

সূযমুখী ফুলে ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্সের বিন্যাস। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

৪০০ মিলিয়ন বছর পুরনো এক ফসিল পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, আধুনিক উদ্ভিদের মতো প্রাচীন স্থলে জন্ম নেয়া উদ্ভিদের পাতা ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স বা ‘গোল্ডেন রেশিও’ মেনে চলে না।

স্থলভাগের অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতা সর্পিল বিন্যাসে জন্মায়। পাতাগুলোর কৌণিক অবস্থান ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স থেকে প্রাপ্ত গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স অনুযায়ী একটি ধারায় প্রতিটি অঙ্ক এর আগের দুই অঙ্কের যোগফল। যেমন, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১। এর নামকরণ হয়েছে ইটালির গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাচ্চির নামে।

পাইনকোন ও আর্টিচোক থেকে শুরু করে বিশ্বের ৯১ শতাংশ স্থলভাগের উদ্ভিদে এ সিকোয়েন্স লক্ষ্য করা যায়।

প্রাচীন উদ্ভিদ এ সোনালী অনুপাত মেনে চলতো কিনা তা বের করতে বৃটেনের ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গের একদল গবেষক, স্কটল্যান্ডে পাওয়া একটি ফসিল পরীক্ষা করে দেখেন।

ফসিলটি ছিল ৪০০ মিলিয়ন বছর আগের অ্যাসটেরোক্সাইলন ম্যাকিয়েই গোত্রের মস। ফসিলটিকে ডিজিটাল স্ক্যান করে থ্রিডি মডেল তৈরি করেন গবেষকরা। এতে দেখা যায়, অ্যাসটেরোক্সাইলন ম্যাকিয়েই মসের পাতাগুলো ঘূর্ণায়মান ও সর্পিলাকারে বিন্যস্ত।

গবেষক দলের সদস্য স্যান্ডি হেদারিংটন নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘গবেষণা শুরুর সময় ভেবেছিলাম এখানেও ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স দেখতে পাব। যা দেখলাম সেটাতে আসলেই অবাক হয়েছি।‘

অনেক উদ্ভিদবিদ যেমনটা ধরে নিয়েছিলেন, মসের এ অদ্ভূত বিন্যাস থেকে সেটার বিপরীত। গবেষকরা বলছেন, পাতাযুক্ত উদ্ভিদ শুরু থেকেই ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স মেনে পাতার জন্ম দিতো ব্যপারটা তেমন নয়। বরং গত কয়েক মিলিয়ন বছরে তারা এ বিবর্তনকে গ্রহণ করেছে।

অ্যাসটেরোক্সাইলন ম্যাকিয়েই এর বংশোদ্ভূত কয়েক প্রজাতির মসে বর্তমানে ফিবোনাচ্চি সিকোয়েন্স অনুপস্থিত। যা থেকে বোঝা যায় এ ধারা একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন