প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একে অপরের দিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ইরান ও ইসরায়েল। এতে নাখোশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি কালে সাংবাদিকদের কাছে তার হতাশার কথা জানান। ট্রাম্প বলেন, আমি, ইসরায়েলের ওপর অসন্তুষ্ট। যারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই এমন বোমা ফেলেছে যা আমি কখনও দেখিনি।’ যখন আমি বলি, তোমার কাছে ১২ ঘন্টা আছে, তখন তুমি প্রথম ঘন্টা থেকেই এর বাইরে যেও না। তাদের সাথে তোমাদের সব বিরোধ সেখানেই শেষ করে দাও।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘দুটি দেশ আছে যারা এত দীর্ঘ এবং এত তীব্র লড়াই করছে, কিন্তু তারা জানে না যে তারা কী করছে।’
আল জাজিরা জানিয়েছে ট্রাম্প ইসরায়েলের ওপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। নেতানিয়াহুর বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে ট্রাম্প স্পষ্টতই বেশ বিরক্ত বোধ করছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক্সিওসের এক প্রতিবেদন উল্লেখ করে আল জাজিরা জানিয়েছে, ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং ইরানে আক্রমণ না করার জন্য তাকে আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, জবাবে নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে জানিয়েছেন তিনী আক্রমণ বাতিল করতে পারছেন না এবং ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় তিনি আক্রমণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারছেন না। এই আক্রমণ ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপুর্ণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হবে এবংদেশটির বিপুল সংখ্যক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে না বরং কেবল একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে।
ইতোমধ্যে ইরানের বিচার বিভাগীয় সংবাদমাধ্যম মিজান এবং শার্গ পত্রিকা উভয়ই জানিয়েছে যে ইরানের রাজধানী তেহরানে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া নতুন এক পোস্টে জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে। ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করবে না। সমস্ত বিমান ঘরে ফিরে যাবে, কেউ আহত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর!"