লালনকন্যা হিসেবে পরিচিত একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
ইউএনবি জানায়, বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রাণ হারান ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন এ শিল্পী।
হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার আশীষ কুমার চক্রবর্তী বার্তা সংস্থাটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালটিতে গত বুধবার থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ফরিদা পারভীন।
স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন ফরিদা পারভীন।
ডাক্তার আশীষের বরাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে গত ২ সেপ্টেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাটোরের সিংড়া থানায় ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।
সংগীত জীবনে তাকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই।
নানা ধরনের গান করলেও মূলত লালন সংগীত গেয়ে শিল্পী জীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা ও অগণিত মানুষের ভালোবাসা পান তিনি।