নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার সিইওর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাস্ক। আর শুক্রবার জানালেন নতুন প্রধানের নাম।
এই বিলিওনিয়ার টেক উদ্যোক্তা টুইটে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে টুইটারের জন্য নতুন সিইও পেয়েছি। তিনি ছয় সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। আমার ভূমিকা বদলে হয়ে হবে কার্যনির্বাহী চেয়ার ও সিটিও। প্রডাক্ট, সফটওয়্যার ও সিসপোস দেখভাল করব আমি।’
পরদিন তিনি টুইট করলেন, ‘লিন্ডা ইয়েকারিনোকে টুইটারের নতুন সিইও হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। তিনি মূলত বিযনেস অপারেশন দেখবেন। আমি প্রডাক্ট ডিযাইন ও নতুন প্রযুক্তির বিষয়টি দেখব।’
ইয়েকারিনো এনবিসি ইউনিভার্সালের সাবেক হেড অফ অ্যাডভার্টাইযিং। এর আগে টার্নার এন্টারটেইনমেন্টে তিনি ১৫ বছর কাজ করেছেন।
টেসলা ও স্পেইসএক্সের প্রধান মাস্ক গত অক্টোবরে টুইটারের দায়িত্ব নেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বড় কিছু পরিবর্তন আনেন। প্রতিষ্ঠানের ৭৫০০ জনবলের ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়। ইউজাররা গত ফেব্রুয়ারিতে কয়েক ঘণ্টার বিভ্রাটে পড়েন, জরুরি ভিত্তিতে তা ঠিক করে টুইটার। এর জন্য পরে দু:খপ্রকাশও করা হয়।
বিজ্ঞাপনের আয়ের পরিপূরক হিসেবে প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন অফার ফের চালুর চেষ্টা করেন মাস্ক। নতুন পলিসিতে ব্লু-টিক পেতে ইউজারদের সাবস্ক্রাইব করতে হবে বলে জানানো হয়। তাদের মাসিক ফি ৮ ডলার করা হয়।
এসব পদক্ষেপের কারণ হিসেবে মাস্ক জানান, তিনি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সংকটে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছেন।
তবে টুইটারেরই এক জরিপে দেখা গেছে, তাকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও পদে দেখতে চায় না বেশিরভাগ ইউজার। জরিপে অংশ নেয়া ৫৭.৫ শতাংশ ইউজার তাকে পদত্যাগ করতে বলেন।
সব মিলিয়ে কিছুটা চাপেই পড়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, টুইটার চালাতে উপযুক্ত ‘বোকাসোকা’ একজনকে খুঁজে পেলেই পদত্যাগ করে ফেলবেন।