চে গুয়েভারাকে গ্রেফতার করা বলিভিয়ার জেনারেলের মৃত্যু

টিবিএন ডেস্ক

মে ৮ ২০২৩, ২৩:৫২

১৯৬৭ সালের প্রেক্ষাপটে সালমন ‘হাউ আই ক্যাপচারড চে’ নামে একটি বই লেখেন। ছবি: গ্যারি প্রাডো অ্যারাউয

১৯৬৭ সালের প্রেক্ষাপটে সালমন ‘হাউ আই ক্যাপচারড চে’ নামে একটি বই লেখেন। ছবি: গ্যারি প্রাডো অ্যারাউয

  • 0

কিউবার বিপ্লবী আর্নেস্তো চে গুয়েভারাকে আটক করে জাতীয় বীর বনে যাওয়া বলিভিয়ান জেনারেল গ্যারি প্রাডো সালমন মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

সালমনের ছেলে গ্যারি প্রাডো অ্যারাউয শনিবার ফেসবুকে তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

অ্যামেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কোল্ড ওয়ারের সময় চে গুয়েভারার কার্যকলাপে ল্যাটিন অ্যামেরিকায় কমিউনিস্ট প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল অ্যামেরিকা। ইউএস সিক্রেট সার্ভিস এযেন্টদের সহায়তায় ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ায় চে গুয়েভারাকে আটক করা হয়। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সালমন। সে সময় বলিভিয়া ডানপন্থি সামরিক সরকারের অধীনে ছিল।

১৯৬৭ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরের দিন ভ্যালেগ্রান্ডে হাসপাতালে চে গুয়েভারার মরদেহ। ছবি: ফ্রেডি আলবার্তো/গেটি ইমেযেস

গ্রেফতারের একদিন পরই এক সেনা কর্মকর্তা লা পাজের ৫১৬ মাইল দক্ষিণের লা হিগুয়েরাতে চে-কে গুলি করে হত্যা করেন। গোপনে সমাহিত করা হয় তার দেহ; পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে সেই দেহাবশেষ কিউবায় ফিরিয়ে এনে নতুন করে সমাধিস্ত করা হয়।

১৯৬৫ সালে কিউবায় চে গুয়েভারা - তিনি তখন শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। ছবি: এএফপি

ল্যাটিন অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশে গেরিলা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে ১৯৫৯ সালে বিপ্লবোত্তর কিউবা ত্যাগ করেন চে গুয়েভারা। আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত এই বিপ্লবী কিউবার কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রধান সহযোগী ছিলেন। হয়ে ওঠেন বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্টদের নায়ক।

জেনারেল সালমনের ছেলে তার বাবাকে ‘অসাধারণ ব্যক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘তিনি প্রেম, সততা এবং সাহসের লিগ্যাসি রেখে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘চে-কে বন্দি করা আমার বাবার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়। বরং, তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে অবদান রেখেছেন, যা সংবিধান ও আইনের কাছে দায়বদ্ধ।’

বলিভিয়ার সামরিক শাসনকে রক্ষার জন্য চে গুয়েভারার গেরিলা বাহিনীকে অতর্কিত আক্রমণ করায় জেনারেল সালমনকে জাতীয় বীরের আখ্যা দেয়া হয়েছিল। অ্যামেরিকার প্রশিক্ষিত বলিভিয়ান রেঞ্জারদের নিয়ে তিনি একটি প্রত্যন্ত জঙ্গলে অবস্থান করা চে গুয়েভারার ১২০ সদস্যের গ্রুপের সংখ্যা কমিয়ে ২২ এ নামিয়ে আনেন।

বন্দুকের বুলেট মেরুদণ্ডে আঘাত হানার পর ১৯৮১ সাল থেকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করছিলেন জেনারেল সালমন। চাকরি থেকে ১৯৮৮ সালে অবসরে যান তিনি।

১৯৬৭ সালের প্রেক্ষাপটে সালমন ‘হাউ আই ক্যাপচারড চে’ নামে একটি বই লেখেন।

চে গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যা করা বলিভিয়ান অফিসার মারিও টেরান গত বছর মারা যান।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন