রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে সম্মেলনে বৃহস্পতিবার পুতিন জোর দিয়ে জানান, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহ ব্যাঘাতের জন্য ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযান নয়, বরং পশ্চিমাদের ভণ্ডামি দায়ি।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাশিয়া আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বুরকিনা ফাসো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইরিত্রিয়া, মালি, সোমালিয়া ও জিম্বাবুয়েতে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন করে শস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করবেন। এমনকি সরবরাহের খরচও ধরবেন না।
পশ্চিমারা শস্য চুক্তির শেষ শর্তটি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাশিয়ায় খাদ্য ও সার রফতানির পথ সুগম করার জন্য কিছুই করেনি জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যা আলোচনা করা হয়েছিল এবং প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, তার কিছুই ঘটেনি।’
তিনি জানান, রাশিয়াকে যারা অনির্ভরযোগ্য খাদ্য সরবরাহকারী হিসাবে উপস্থাপন করছে, তারা মিথ্যাচার করছে। এই মিথ্যাচারিতা কয়েক দশক ধরে কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্রের অভ্যাস।
পুতিন বলেন, ‘আমি এরইমধ্যে বলেছি যে বাণিজ্যিক ও অনুদান সহায়তা- দুই ক্ষেত্রেই আমাদের দেশ ইউক্রেইনিয় শস্য প্রতিস্থাপন করতে পারে। কারণ আমরা এ বছর ফসল উৎপাদনে আরেকটি রেকর্ড আশা করছি।’
শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার বের হয়ে আসা বিশ্বজুড়ে হট্টগোল তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকার সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আফ্রিকান দেশগুলোকে রাশিয়ার দিকে টানার দীর্ঘস্থায়ী প্রচেষ্টায় পুতিন রক্ষণশীল অবস্থান নিয়েছেন।
সম্মেলনে তিনি আফ্রিকান নেতাদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন যে রাশিয়াই তাদের প্রকৃত বন্ধু।
রাশিয়া-ইউক্রেইনের যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেইনের খাদ্য শস্য রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জাতিসংঘ ও তুর্কিয়ের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাই মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ‘ব্ল্যাক সি শস্যচুক্তি’ নামে চুক্তিটি সই হয়। এর আওতায় ব্ল্যাস সি ব্যবহার করে শস্য রফতানির সুযোগ পায় ইউক্রেইন।
ব্ল্যাক সি দিয়ে খাদ্যশস্য, পশুখাদ্য ও সার বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী খাবারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।