ফুরিয়ে আসছে খাবার, মানবিক বিপর্যয় ‘কড়া নাড়ছে’ গাজায়

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২ ২০২৫, ২২:২২ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ১২ ২০২৫, ১:১৭

গাজা উপত্যকার দক্ষিণে দেইর আল-বালাহর একটি ফিল্ড হাসপাতালে ২০২৪ সালের ২২ জুন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অপুষ্টিতে ভোগা শিশু জানা আয়াদের। ছবি: রয়টার্স

গাজা উপত্যকার দক্ষিণে দেইর আল-বালাহর একটি ফিল্ড হাসপাতালে ২০২৪ সালের ২২ জুন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় অপুষ্টিতে ভোগা শিশু জানা আয়াদের। ছবি: রয়টার্স

  • 0

খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করা আইপিসি সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষের সবাই খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে আছেন।

ফিলিস্তিনের গাজা দুর্ভিক্ষের মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে জানিয়ে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, খাদ্য সহায়তার ওপর ইসরায়েলের দুই মাসের বেশি সময়ের অবরোধে ‘আসন্ন’ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে উপত্যকার ২২ শতাংশ জনগণ।

খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করা আইপিসি সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, গাজার প্রায় ২৪ লাখ মানুষের সবাই খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে আছেন।

‘সংঘাতের ১৯ মাস হলেও গাজা উপত্যকা এখনও দুর্ভিক্ষের মারাত্মক ঝুঁকি মোকাবিলা করছে’, প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে আইপিসি।

পর্যবেক্ষণকারীটির ভাষ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজায় খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সে সময়ের তুলনায় এ পরিস্থিতির ‘বড় ধরনের অবনতি’ হয়েছে।

আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য পণ্য হয় ফুরিয়ে আসছে অথবা আগামী সপ্তাহগুলোতে শেষ হয়ে যাবে। জনগণের সবাই খাদ্যকেন্দ্রিক মারাত্মক অনিরাপত্তায় রয়েছে। উপত্যকার পাঁচ লাখ মানুষ (প্রতি পাঁচজনের একজন) অনাহারে আছে।

গাজার খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করা আইপিসি পাঁচটি ধাপে দুর্ভিক্ষ সতর্কতা দেওয়ার ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছে।

তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ১০ মে নাগাদ গাজার দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি বা পঞ্চম স্তরে ছিল।

কোনো এলাকা পঞ্চম স্তরে থাকার অর্থ হলো সেখানকার মানুষ বিপর্যয় বা দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে আছে।

আইপিসি জানায়, গাজার আরও ৯ লাখ ২৫ হাজার মানুষ চতুর্থ স্তর বা খাদ্য সংকটের ‘জরুরি’ পর্যায়ে আছে।