ইসরাইল সরকার গাজার পশ্চিম তীরে ১ হাজার ১৭০টি নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই পরিকল্পনার আওতায় গ্ভাওত, ইটামার, শা'আরেই টিকভা এবং গিভাত জিভ নামক অবৈধ বসতিগুলিতে নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণ করা হবে। বিশেষ করে গ্ভাওতে ৭৫৬টি ইউনিট নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই বসতির আকারকে বিশালভাবে বৃদ্ধি করবে ।
এই সম্প্রসারণ পরিকল্পনাগুলি ইসরাইলের উগ্র-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের ফলাফল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যারা পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ, যিনি নিজেও একজন বসতি স্থাপনকারী, এই সম্প্রসারণ নীতিকে ত্বরান্বিত করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি পশ্চিম তীরের মানচিত্রকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করতে চান ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি৭ দেশগুলো, এই বসতি সম্প্রসারণের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে যে এই পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ক্ষতিকর ।
এই বসতি সম্প্রসারণের ফলে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা আরও দুর্বল হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে ফিরে আসে।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে খুবই উদ্বেগজনক ও বিপজ্জনক হিসেবে দেখছে। তারা মনে করে, এটা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও দূরে সরিয়ে দেয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে প্রায় ১৬০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরাইল। যেখানে প্রায় সাত লাখ ইহুদির বসবাস।
ফিলিস্তিনিরা এই জমিগুলোকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দাবি করে।