আহত হয়েছেন অর্ধশত। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি ভবন।
কার্যালয়ের অস্ত্রের গুদামঘরে সোমবারের এই বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতামূলক নয় বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ; বেসামরিক আছেন চার জন।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান শফিউল্লাহ গান্দাপুরের বরাতে আল-জাজিরা জানায়, নিহতদের মধ্যে নয় জন পুলিশ, পাঁচ জন আসামি এবং তিন জন বেসামরিক।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের কারণে গোলাবারুদে আগুন লেগে এ বিস্ফোরণ হয়েছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে হামলার কোনো প্রমাণ মেলেনি।’
কাউন্টার টেরোরিযম ডিপার্টমেন্টের রিযিওনাল চিফ সোহেল খালিদ রয়টার্সকে জানান, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটি সন্ত্রাসী হামলা নয়।
তিনি বলেন, ‘একটি স্টোরে আমাদের বিপুল অস্ত্র ছিল। অসতর্কতায় সেখানে বিস্ফোরণ হতে পারে। আমরা সব দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রথমে এই বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ বললেও পরে টুইটারে জানান, বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোয়াত উপত্যকা ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিস্ট জঙ্গি সংগঠনের দখলে ছিল। ২০১২ সালে এই ভ্যালিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
এই উপত্যকায় তালেবান গত কয়েক মাসে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বহু হামলা চালিয়েছে। তবে কাউন্টার টেররিজম কার্যালয়ে এ বিস্ফোরণের দায় নেয়নি জঙ্গি সংগঠনটি।