ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি করে গাজায় নৃশংসতা চালাল ইসরায়েল

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৪ ২০২৫, ১৯:০২ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ২৩:১৭

মধ্য গাজায় মঙ্গলবার ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনের আহাজারি। ছবি: মাহমুদ ইসা/রয়টার্স

মধ্য গাজায় মঙ্গলবার ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনের আহাজারি। ছবি: মাহমুদ ইসা/রয়টার্স

  • 0

নতুন করে হামলার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে গাজা সিটির ৬২ বছরের বাসিন্দা আদেল ফারুক রয়টার্সকে বলেন, ‘যথেষ্ট! গোটা দুনিয়া আমাদের সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

ইরানের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে বিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরায়েল।

দেশটি মঙ্গলবার কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পাশাপাশি নতুন করে জায়গা খালি করার আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর ২০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের আশা জেগেছিল ফিলিস্তিনিদের মনে।

গাজায় ইসরায়েলের এ যুদ্ধে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে উপত্যকা। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বেশির ভাগ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অপুষ্টি ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে উপত্যকাজুড়ে।

নতুন করে হামলার ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে গাজা সিটির ৬২ বছরের বাসিন্দা আদেল ফারুক রয়টার্সকে বলেন, ‘যথেষ্ট! গোটা দুনিয়া আমাদের সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

‘হিজবুল্লাহ গাজাকে ছাড়াই চুক্তি করল। এখন ইরান একই কাজ করেছে।’

একটি চ্যাট অ্যাপে তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, পরবর্তী (যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে) গাজায়।’

তার এ বক্তব্যের পর তেহরানে দুটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েল উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। বিশেষত ইসরায়েলের প্রতি বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে গাজায় বিরতি ছাড়াই চলছে সহিংসতা। উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত এলাকার আল-আউদা হাসপাতালের কর্মী মারওয়ান আবু নাসের জানান, তারা ১৯ জনকে মৃত অবস্থায় এবং ১৪৬ জনকে আহত অবস্থায় পান। নৃশংসতার শিকার এসব ব্যক্তি অ্যামেরিকা সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

আবু নাসের জানান, বন্দুকের গুলিতে তারা হতাহত হন।