উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী রোগী শচীন ভর্তি ছিলেন নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। তবে সেখানে রোগীদের যে পরিমাণ খাবার দেয়া হতো তা পর্যাপ্ত ছিল না। এতে কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন শচীন। তার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের আনা খাবারও খুব কমই পৌঁছাত তার কাছে।
ক্রোধ থেকে এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নেন শচীন। হাসপাতালের রান্নাঘর থেকে স্টিলের চামচ চুরি করতে শুরু করেন তিনি। এরপর বাথরুমে গিয়ে চামচগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো করে পানি দিয়ে গিলে ফেলতেন।
এনডিটিভি জানায়, পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। স্ক্যানে অদ্ভুত বস্তুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে সেগুলো অপসারণের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় কারণ প্রচুর পরিমাণে জিনিসপত্র ছিল।
পরে অস্ত্রোপচার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার শেষে হতবাক চিকিৎসকরা। একটি দুটি নয় তার পেট থেকে বের করা হয় ২৯টি স্টিলের চামচ, ১৯টি টুথব্রাশ এবং দুটি কলম।
চিকিৎসকরা বলছেন, মানসিক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায়শই এই ধরনের আচরণ দেখা যায়।