সাবস্ট্যাকে পুলিৎজারজয়ী সাংবাদিক
সপ্তাহান্তে ইরানে ভারি বোমা ছুড়তে পারে অ্যামেরিকা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১৯ ২০২৫, ২৩:১২ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ২৩:৩৫

অ্যামেরিকার বাঙ্কার বাস্টার বোমা। ছবি: এপি

অ্যামেরিকার বাঙ্কার বাস্টার বোমা। ছবি: এপি

  • 0

ভিয়েতনামে ১৯৬৯ সালে অ্যামেরিকা পরিচালিত মাই লাই হত্যাকাণ্ড উন্মোচন করে পুলিৎজার পুরস্কার পান হার্শ। সাবস্ট্যাকে তিনি ইরানে এ সপ্তাহান্তে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা জানান।

অ্যামেরিকা এ সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে থাকা ইরানের ওপর ভারি বোমা ছুড়তে পারে বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছেন অ্যামেরিকান অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও রাজনীতিবিষয়ক লেখক সেইমুর হার্শ।

সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম সাবস্ট্যাকে এ তথ্য জানান তিনি।

ভিয়েতনামে ১৯৬৯ সালে অ্যামেরিকা পরিচালিত মাই লাই হত্যাকাণ্ড উন্মোচন করে পুলিৎজার পুরস্কার পান হার্শ।

সাবস্ট্যাকে তিনি ইরানে এ সপ্তাহান্তে সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা জানান।

ইসরায়েলের হাঁড়ির খবর জানা লোকজন ও অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ সাংবাদিক জানান, এ সপ্তাহান্তে ইরানে ভারি বোমা বর্ষণ করবে অ্যামেরিকা।

তিনি বলেন, “আমি এ প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করেছি ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে, যিনি আমাকে বলেছেন যে, সব ‘নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি চলে গেলে।”

বিখ্যাত এ সাংবাদিক বলেন, অ্যামেরিকার অস্ত্রের সক্ষমতা ও ইরানের অভ্যন্তরে দেশটির লক্ষ্যবস্তুগুলো নিয়ে অনেক আলাপ রয়েছে।

তার মতে, আয়াতুল্লাহ খামেনির মতো অনেক অনুসারী থাকা সম্মানিত একজন নেতাকে হত্যার বিষয়ে বাস্তবসম্মত চিন্তা খুব একটা নেই।

ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়ে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ট্রাম্পের একটি বার্তা উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এ কথা জানান বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘নিকট ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, যা হতে পারে, নাও হতে পারে, এমন ফ্যাক্টের ভিত্তিতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে আমি আমার সিদ্ধান্ত নেব দুই সপ্তাহের মধ্যে’, ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে বলেন লেভিট।

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানের পথে যেতে আগ্রহী ট্রাম্প, তবে তার মূল অগ্রাধিকার ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে দূরে রাখা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির মাধ্যমে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিষিদ্ধ এবং তেহরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জনের সক্ষমতা শেষ করতে হবে।

‘প্রেসিডেন্ট সবসময়ই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী…তিনি শান্তি স্থাপনকারীদের শীর্ষে। তিনি শান্তির জন্য শক্তি ব্যবহারকারী প্রেসিডেন্ট।

‘তাই কূটনীতির কোনো সুযোগ থাকলে প্রেসিডেন্ট সবসময় এটাকে লুফে নিচ্ছেন, তবে আমি এও বলব যে, কোনো শক্তি প্রয়োগের বিষয়েও শঙ্কিত নন তিনি।’