বাংলাদেশের সঙ্গে আরও জোরদার সম্পর্ক চায় ভারত: হাইকমিশনার

বাসস

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭ ২০২৫, ০:২০

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: বাসস

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: বাসস

  • 0

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মৈত্রী দিবস ২০২৫’-এর ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশর সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে ভারত এমন একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, যেখানে জনগণই হবে দুই দেশের সম্পর্কের মূল অংশীজন।

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মৈত্রী দিবস ২০২৫’-এর ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির স্মরণে এ দিবস উদযাপন করা হয়।

প্রণয় ভার্মা ‘মৈত্রী দিবস’কে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন, যৌথ ত্যাগ ও আত্মত্যাগের প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করে যাবে উভয় দেশ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন হয়, যেখানে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতিফলন ঘটে। এতে নাট্যাভিনয়, নৃত্য পরিবেশনা ও সংগীত পরিবেশনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘৭১ ইন সাইলেন্স’ শিরোনামে একটি পরিবেশনা মঞ্চস্থ হয়। সুন্দরম প্রোডাকশনের প্রযোজনায় রমেশ মায়াপ্পানের নির্দেশনায় পরিবেশনাটি প্রতিবন্ধীবান্ধব শারীরিক গল্পকথনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্মকথা তুলে ধরে।

এরপর প্রখ্যাত নৃত্যনির্দেশক আনিসুল ইসলাম হিরোর তত্ত্বাবধানে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের শিল্পীরা একটি নৃত্য পরিবেশনা উপস্থাপন করেন, যেখানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটে।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’-এর উদ্দীপনাময় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।