
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের আর্থিক ক্ষতি কত?

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭ ২০২৫, ১৮:৩৪

ইসরায়েলের রিহোভত এলাকায় গত ১৯ জুন ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। ছবি: এপি
- 0
দ্য ন্যাশনাল জানায়, ১২ দিনের সংঘাতে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির। উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে অবকাঠামোর।
ইরানের সঙ্গে ১৩ জুন শুরু হওয়া যুদ্ধে অবকাঠামোগত ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাপক আর্থিক লোকসানে পড়েছে ইসরায়েল।
দ্য ন্যাশনাল জানায়, ১২ দিনের সংঘাতে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির। উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে অবকাঠামোর।
ইসরায়েলের সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর আমির ইয়ারন ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে জানান, যুদ্ধে ইসরায়েলের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির সম্ভাব্য ক্ষতি প্রায় এক শতাংশ।
এর অর্থ হলো যুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২০ বিলিয়ন শেকেল বা পাঁচ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।
ফিলিস্তিনের রামাল্লার আরব অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক নাসের মুফরেজ দ্য ন্যাশনালকে জানান, যুদ্ধে সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি দেখেছে ইসরায়েল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধের ফলে হওয়া ক্ষতি। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি খাতের প্রভাবও রয়েছে।
মুফেজ বলেন, যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের উৎপাদনশীল সব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ পরস্পরকে আক্রমণের পর সম্প্রতি যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল ও ইরান। এ যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে রবিবার শুরুর সময়ে ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালায় অ্যামেরিকা। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতার ও ইরাকে অ্যামেরিকার ঘাঁটিতে হামলা করে ইরান। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সর্বশেষ সংঘাত শুরুর দিন ইরানজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির জ্যেষ্ঠ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ করে ইরান। এ আক্রমণে তেল আবিবসহ ইসরায়েলি বিভিন্ন এলাকার আবাসিক ভবন, একটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইরানের আগে ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে ইসরায়েল। এসব যুদ্ধ চলতি বছর ইসরায়েলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
তাদের একজন এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার অর্থনীতিবিষয়ক প্রধান রালফ উইগার্ট।
তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের পর ২০২৫ সালে ইসরায়েলের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক তিন শতাংশ থেকে কমে এক দশমিক সাত শতাংশে নামবে।
উইগার্ট বলেন, সামরিক সরঞ্জাম ফুরিয়ে যাওয়াটা হবে ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল। নতুন সরঞ্জাম কিনতে চাইলে ২০২৫ সালে বাজেট ঘাটতি জিডিপির পাঁচ দশমিক সাত শতাংশের বেশি হবে।