জর্ডান ও তার দল সরকারের ‘ওয়েপনাইজেশন’ নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে নথিগুলো পেয়েছেন। নথিগুলো প্রমাণ করে যে বাইডেন প্রশাসনের অসাংবিধানিক চাপের কারণে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম পোস্টগুলোর ওপর সেন্সর আরোপিত হয়েছে।
নথিগুলোতে ২০২১ সালে মার্ক জাকারবার্গ ও শেরিল স্যান্ডবার্গকে করা ফেসবুক কর্মকর্তার ইমেইল পাওয়া গেছে। ইমেইলে বলা আছে, ‘কোভিড-নাইন্টিন ভ্যাকসিন বিরোধী কন্টেন্টগুলোকে সরিয়ে দেয়ার জন্য হোয়াইট হাউয ও প্রেসসহ বহিরাগত অনেক সহযোগীদের কাছ থেকে আমরা ক্রমাগত চাপের সম্মুখীন হচ্ছি।’
সেই সময় ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ তার সহকর্মীদের এক বার্তায় জানান, ফেসবুক অ্যান্টি ভ্যাকসিন মিম সরিয়ে না নেয়ায় বাইডেনের সিনিয়র উপদেষ্টা অ্যান্ডি স্লাভিট ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন জানিয়েছে, ‘ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা সেটির সিদ্ধান্ত নিতে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আমাদের সাংবাধিনাকি অধিকারগুলো পেতে সরকার আমাদের উপর ব্যক্তিগত চাপ ব্যবহার করতে পারে না।’
জর্ডান এই সপ্তাহের শুরুর দিকে সতর্ক করেছিলেন যদি জাকার্বাগ সরকারি হস্তক্ষেপের নথিগুলো প্রকাশ না করেন তাহলে তার কমিটি জাকারবার্গকে কংগ্রেসের অবমাননায় দায়ী করবে।