বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে অ্যামেরিকান হাই কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের সঙ্গে হাসের আলোচনা হয়েছে শ্রম আইন নিয়ে। আর মির্জা ফখরুল বলেছেন, অ্যামেরিকার নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চেয়েছেন পিটার হাস।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সরকারি অফিসে গিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে তার সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডর। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হকের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো জানায়, বৈঠকে পিটার হাস মূলত শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেছেন। আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে অ্যামেরিকার কিছু বক্তব্য ছিল। সে সব বিষয় নিয়েই হাস বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন এবং এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি মাসে জেনেভা যাচ্ছেন। এর আগে শ্রম আইন নিয়ে বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য জানল অ্যামেরিকা।
এদিকে পিটার হাস মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন।
বিএনপির মহাসচিব বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকায় অ্যামেরিকান দূতাবাসে গিয়ে হাসের সঙ্গে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল একাই ছিলেন বলে জানিয়েছে প্রথম আলো।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় বিএনপির আরও দুজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে অ্যামেরিকা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন পিটার হাস।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার যেহেতু নির্বাচনি প্রক্রিয়াসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে, সে প্রেক্ষাপটে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অ্যামেরিকাকে এই ভিসা নীতি দিতে হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের এ অবস্থানই পিটার হাসের কাছে তুলে ধরেছি।’
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও বিএনপির বক্তব্য জানতে চান পিটার হাস। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা মনে করি। এ বক্তব্যই পিটার হাসের কাছে তুলে ধরেছি।’