আ. লীগ-বিএনপির ঢাকার সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যে মানা

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১১ ২০২৩, ২১:৪৬

আ. লীগ-বিএনপির ঢাকার সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যে মানা
  • 0

রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্য না দেয়া এবং উসকানিমূলক বক্তব্যে বিধিনিষেধসহ মোট ২৩ শর্তে ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপিকে বুধবার সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

একই শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার অনুমতি পেয়েছে।

বিএনপিকে সমাবেশের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আর আওয়ামী লীগ বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সমাবেশ করতে পারবে।

ডিএমপি মঙ্গলবার বিএনপি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়ে এ অনুমতির কথা জানায়।

ঢাকায় সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে বিএনপির। অন্যদিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। একই দিনে কাছাকাছি জায়গায় বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।

যেসব শর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে; ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে; ৩. অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; ৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে; ৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে; ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ; ৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে; ৮. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; ৯. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না; ১০. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না; ১১. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না; ১২. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শণ বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না; ১৩. সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতিত মঞ্চকে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না; ১৪. সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘন্টা পূর্বে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে; ১৫. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে; ১৬. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; ১৭. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না; ১৮. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না; ১৯. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না; ২০. কোনো ধরনের লাঠি-সোঁটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না; ২১. আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন; ২২. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন