রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ৬ জুলাই মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা ঢাকার একটি স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি যা বাংলাদেশের স্বার্থ পূরণ করে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ছয় সদস্য ইইউ হাই রেপ্রেজেন্টেটিভ ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসি জোসেপ বোরেলের কাছে যে চিঠি লিখেছেন এবং একইসঙ্গে অ্যামেরিকান সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টোনি ব্লিনকেনের কাছে বেশ কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠিগুলো রাশিয়ার নজরে এসেছে।
রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি আগে কখনও শুনিনি যে, বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য। আমি এটা শুনিনি কারণ বাংলাদেশ এমন কোনো দেশ নয়। একইসঙ্গে আমার জানা ছিল না যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের বিষয়টি অ্যামেরিকার স্টেইট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যুক্ত।’
তিনি বলেন, পশ্চিমাদের যুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন একটি ‘নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সুপারিশ করা ইইউ হাই রেপ্রেজেন্টেটিভ ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসি এবং অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেইটের দায়িত্ব।
জাখারোভা প্রশ্ন করেন, ‘একে নয়া ঔপনিবেশিকতা আর কী বলা যেতে পারে? এটা সম্প্রসারণ ও উপনিবেশবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কী হতে পারে?’
ইইউ এবং অ্যামেরিকার এমন আচরণ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ প্রচেষ্টা বলেও অভিযোগ করেন জাখারোভা। তিনি বলেন, ‘কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেটি বোঝে এবং এ ব্যাপারে তারা কোনো পরামর্শ চায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ অ্যামেরিকা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বারস্থ না হলেই সমালোচনার মুখে পড়ছে এবং এটি একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ অ্যামেরিকা ও ইইউর উচিত অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজেদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা।’