অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘মোকা’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ ও সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমে রাখাইন রাজ্যে অন্তত এক মিলিয়ন শরণার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ‘মোকার’ আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশের জাতিসংঘ রিফিউযি এযেন্সি এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‘টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি চলছে।’
মোকা বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়।
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার শক্তিশালী হয়ে অ্যাটল্যান্টিক হ্যারিকেনের ক্যাটাগরি ওয়ানে রূপান্তরিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।