কলম্বিয়ার অ্যামাজন জঙ্গলে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার ৪০ দিন পর উদ্ধার চার আদিবাসী শিশুর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে তাকে শুক্রবার হেফাজতে নেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
কলম্বিয়ার প্রসিকিউটর অফিস অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এক বার্তায় বলেছে, বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া চার শিশুর ভেতর এক বছর ও চার বয়সী দুই ছেলে শিশুর বাবা ম্যানুয়েল রানোক। তিনি নয় বছর ও ১৩ বছর বয়সী অন্য দুই মেয়ে শিশুর সৎ বাবা। বিমান দুর্ঘটনায় ওই শিশুদের মাসহ আরও দুজন প্রাণ হারিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে রানোকের গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। তবে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই শিশুদের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে থাকা কলম্বিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ইলিয়ানা ক্যাসেরেস জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে স্টেইট এজেন্সির সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুকুতুয়ের ওই চার শিশুর ভেতর দুই শিশুর বাবা রানোককে গ্রেফতারের বিষয়ে অবগত আছি। শিশুরা এখনও অপ্রাপ্তবয়স্ক। আমাদের বিশ্বাস, প্রসিকিউটরের অফিস আইন মেনেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।’
উদ্ধারের পর থেকেই ওই চার শিশুর হেফাজতের দাবিতে লড়াই করছেন রানোক ও শিশুদের নানা-নানী। শিশুদের নানা নারসিসো রানোকের বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন।
এ বিষয়ে রানোক সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি সত্যি যে তাদের সংসারে সমস্যা ছিল। তিনি দাবি করেন, এটি তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
স্ত্রীকে কোনোভাবে নিপীড়ন করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে বাকবিতণ্ডার হিসেবে, হ্যাঁ। তবে শারীরিকভাবে খুবই কম। আমরা শব্দের লড়াই করতাম।’
শিশুদের মা ম্যাকদালেনা মুকুতুয় বিমান দুর্ঘটনার চারদিন পর মারা যান। তার বড় সন্তান লেসলির সাহসিকতায় উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যামাজনের ঘন জঙ্গলে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে জিতে যায় তারা। প্রায় ৪০ দিন পর তাদের জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে শিশুরা অপুষ্টি ও অন্য অসুস্থতা থেকে সেরে উঠে হাসপাতাল ছেড়েছে। এরপর থেকে তারা কলম্বিয়া’স চাইল্ড প্রোটেকশন এজেন্সির হেফাজতে রয়েছে।