গড়ে ১৯০ টন ওজনের নীল তিমিকেই ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী প্রাণীর স্বীকৃত দিয়েছেন জীববিজ্ঞানীরা। তবে, নেচার জার্নালে ২ আগস্ট প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেন পেরুসিটাস কলোসাসই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভারী। বিশেষজ্ঞদের দাবি এর ওজন হতো ৩৪০ টনের কাছাকাছি।
নীল তিমির চেয়ে দৈর্ঘ্যে কিছুটা ছোট পেরুসিটাস। বিজ্ঞানীদের ধারণা ২০ মিটার বা প্রায় ৬৬ ফিট লম্বা হতো এটি। আর আধুনিক নীল তিমির দৈর্ঘ্য ৯০ থেকে ১০০ ফিট হয়ে থাকে।
দক্ষিণ পেরুর ইকা প্রদেশে ৩০ বছর আগে পেরুসিটাসের ফসিল প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর তিন দশকে বিলুপ্ত প্রাণীটির মেরুদণ্ডের ১৩টি অংশ, চারটি পাঁজরের হাড় ও নিতম্বের একটি হাড় খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। এর মেরুদণ্ডের একেকটি অংশের ওজনই প্রায় দেড় শ কেজি।
তবে, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এর হাঁড় অত্যন্ত ঘণ ও এর সফট টিস্যু অত্যন্ত হালকা ছিল। যার কারণে প্রাণীটি অদ্ভূত আকৃতির ছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তিমির মতো না হয়ে এর আকার আধুনিককালের ম্যানাটির মতো ছিল বলে তাদের ধারণা।
গবেষণায় আরও দাবি করা হয় যে, পেরুসিটাস কী কারণে বা কী খেয়ে এতো বিশালাকৃতির হলো সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা এতো বিশাল দেহে খুব বেশি নড়াচড়া করতো না পেরুসিটাস। সাগরের তলদেশেই অধিকাংশটা সময় কাটাত প্রাণীটি।