দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাধারণত হোটেলে রাখা হয়। তবে অস্থায়ী বাসস্থান হিসেবে হোটেল খুবই ব্যয়বহুল হওয়ায় সস্তা বিকল্প খুঁজছে দেশটি।
বৃটেইনের সরকার জানিয়েছে, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা ৫০ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী বর্তমানে হোটেলে অবস্থান করছেন। বৃটিশ সরকার এ ধরনের ঢলকে নিরুৎসাহিত করতে চায়।
তবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে বার্জ ও কিছু সামরিক সাইট ব্যবহারের পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের আশংকা, এসব জায়গা অভিবাসীদের প্রতিবাদের স্থানে রূপ নিতে পারে।
অনেকে আবার ইরাক, ইরান, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও আলবেনিয়ার মতো দেশ থেকে আসা মানুষকে সস্তা আবাসনে রাখার সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে দাবি করছেন।
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা বেল রিবেরো এডি বলেন, বিবি স্টকহোম বার্জে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গুদামে পণ্যের মতো বোঝাই করে রাখা হবে। এটি তাদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণের সামিল।
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের জন্য এক অন্ধকার দিন।’
তবে বৃটেইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সারা ডাইনস সোমবার জানান, সম্প্রতি হোটেলের বিল ছয় মিলিয়ন পাউন্ড (৭.৭ মিলিয়ন ডলার) বেড়ে যাওয়ায় অভিবাসীদের বিকল্প আবাসন হিসেবে বার্জটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বার্জে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বিলাসবহুল না হলেও উপযুক্ত আবাসন পাবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিবি স্টকহোম বার্জে শুধু সিঙ্গেল পুরুষরা থাকবেন। তাদেরকে খাবার, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ সব ধরনের মৌলিক সুবিধার বন্দোবস্ত করা হবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বার্জটিতে সোমবার প্রায় ৫০ জনকে সরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে।