মেসি আসার আগে মায়ামি ১১ লিগ ম্যাচে জয়বিহীন ছিল। বিশ্বকাপ জয়ী এই মহাতারকাকে পেয়ে শেষ তিনটি ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মেজর লিগ সকারের তলানিতে থাকা ক্লাবটি। মেসিও তার শতভাগ দিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছেন।
আগামী রোববার টেক্সাসে শেষ ষোলোর ম্যাচে মায়ামির প্রতিপক্ষ ডালাস। এই ম্যাচে জিতলে মেজর লিগ সকার ও মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র শীর্ষ ক্লাবগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করবে মায়ামি।
ফ্লোরিডা ডার্বিতে ম্যাচের বেশীরভাগ সময়ই মেসিকে আটকাতে ব্যস্ত ছিল অরল্যান্ডো। তবে সব বাধা পেরিয়ে সাতবারের ব্যালন ডি’অর নিজেকে আরও একবার ম্যাচ উইনার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হতে ৯৫ মিনিট দেরি হয়।
গত সপ্তাহে অ্যাটলান্টাকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে মায়ামি। ঐ ম্যাচটি যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু করে আক্রমণভাগে আবহ ধরে রাখে জেরার্ডো মার্টিনোর দল।
ফিনিশ উইঙ্গার রবার্ট টেইলর বাম দিক থেকে কাট করে নিখুঁত চিপে এগিয়ে আসা মেসির দিকে বল বাড়িয়ে দেন। ছয় গজ দুর থেকে মেসি বুক দিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাত মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন।
তবে মায়ামির এই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১০ মিনিট পরেই ম্যাচে সমতায় ফেরে অরল্যান্ডো। ইভান আঙ্গুলোর লো শটে মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার রুখে দিলেও ফিরতি বলে উরুগুইয়ান সিজার আরাউজো বল জালে জড়ান।
সমতায় ফিরে মেসিকে বাক্সবন্দী করে ফেলে অরল্যান্ডো। মায়ামিতে খেলতে এসে এই প্রথম মেসিকে কিছুটা হতাশ মনে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ মিনিটে হতাশা থেকে ওয়াইল্ডার কারটাজেনাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখতে হয় মেসিকে।
বিরতির পর ১৮ বছর বয়সী বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের মধ্যে জোসেফ মার্টিনেজকে ফাউল করে বসেন ব্রাযিলিয়ান ডিফেন্ডার অ্যান্টোনিও কার্লোস। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে ৫১ মিনিটে মার্টিনেজের গোলে আবারও এগিয়ে যায় মায়ামি। ৭২ মিনিটে মার্টিনেজের দারুণ এক পাসে মেসি দলের হয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে মায়ামির শেষ ১৬ নিশ্চিত হয়।