দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আজ দূতাবাস বন্ধ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব দূতাবাসের কর্মীদের ওপর চলাচলের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এমনকি সবাইকে কম্পাউন্ডে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।’
হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে বসবাসকারী অ্যামেরিকান নাগরিকদের কম্পাউন্ডের আশেপাশের এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া, বিক্ষোভ ও যেকোনো ধরনের জমায়েত সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হাইতিতে বেড়েছে সন্ত্রাসী সংঘাত। গ্যাং ভায়োলেন্স থেকে নিরাপত্তা দেয়ার দাবিতে দেশটির রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। সাধারণ জনতা সোমবার ‘আমরা নিরাপত্তা চাই’ শ্লোগান দিয়ে ডাউনটাউন এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে পৌঁছায়। এরপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসের হত্যার পর থেকে পোর্ট-অ-প্রিন্সের প্রায় ৮০ ভাগ অংশ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দখলে চলে গেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৬০০-এরও বেশি মানুষ গ্যাং ভায়োলেন্সের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২২ সালে প্রাণহানির মাত্রা আগের তিন মাসের তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো পুলিশের সহায়তা পাচ্ছে।