চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখন পর্যন্ত কোনো নভোযানের ল্যান্ডার সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি। এ কারণে অংশটি অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে বরফ ও ব্যবহার্য কিছু খনিজ পদার্থ।
এই দক্ষিণ মেরু জয়ের চন্দ্রয়ান-থ্রি ও লুনা-টোয়েন্টিফাইভের অভিযানকে বিশেষজ্ঞরা ভারত ও রাশিয়ার ছোটখাট মহাকাশ প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখছে।
একটি অরবিটার, ল্যান্ডার ও একটি রোভার নিয়ে গত ১৪ জুলাই চন্দ্রয়ান-থ্রি উৎক্ষেপণ করে ভারতের ইসরো। পৃথিবীর চারদিকে কয়েকবার চক্কর দিয়ে চাঁদের কক্ষপথে এটি পৌঁছেছে বলে জানানো হয় গত ৫ অগাস্ট।
ইসরো বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রপালশান মডিউল থেকে বিচ্যুত হয়েছে ল্যান্ডার। ইসরোর প্রথম চন্দ্রাভিযানের প্রধান মায়েলসোয়ামি আন্নাদুরাই জানান, বিচ্যুত ল্যান্ডারটি আগামী কয়েকদিনে মহড়া চালাবে। প্রতি মহড়ায় চন্দ্রপৃষ্ঠের আরও কাছে পৌঁছে যাবে। এভাবে ২৩ অগাস্ট দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে। অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর ল্যান্ডার থেকে ছয় চাকার রোভার বের হয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার কাজ করবে।
এদিকে, ৫০ বছর পর চন্দ্রাভিযান চালু করতে গত ১০ অগাস্ট লুনা-টোয়েন্টিফাইভ উৎক্ষেপণ করে রাশিয়া। এর রকেট সোয়ুয অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় দ্রুত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বের হয়ে বুধবার পৌঁছে গেছে চাঁদের কক্ষপথে। রসকসমস জানিয়েছে, পাঁচ দিন কক্ষপথে ঘুরে আগামী ২১ অগাস্ট এর ল্যান্ডার চাঁদের দক্ষিণ মেরু অবতরণ করতে পারবে। এরপর প্রায় এক বছর চাঁদে অবস্থান করে এটি সেখানকার উপাদান ও বায়ুমণ্ডল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা চালাবে।
এ পর্যন্ত তিনটি দেশ সফলভাবে চাঁদে অবতরণে সক্ষম হয়েছে। অ্যামেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চায়না। এর মধ্যে ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকাকালে প্রথম চন্দ্রযান পাঠায় রাশিয়া।