সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ‘রাহুল গান্ধীকে ফৌজদারি মানহানির মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেলের সাজা দেয়ার যথেষ্ট কারণ ও ভিত্তি ছিল না।'
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাহুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কংগ্রেস দলের নেতা কেসি ভেনিগোপাল বলেছেন, তারা গান্ধীকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে গত মার্চ মাসে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় ভারতের সুরাতের আদালত।
মোদি পদবিটি নিয়ে ২০১৯ সালে একটি নির্বাচনি র্যালিতে মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামের শেষে কেন মোদি থাকে?’
এ ঘটনার পর রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়। গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেন্দু মোদি ওই মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, গোটা মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন রাহুল।
রায় ঘোষণার পরপরই সাজা দুই মাস স্থগিত করে আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন দেয়। তাকে আপিলের সুযোগও দেয়া হয়।
সেই আপিলের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে সাজা স্থগিত করেছে আদালত। আপিলের বিষয় খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত না হলে আগামী বছর তিনি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
সাজা স্থগিত করা হলেও আদালত গান্ধীকে সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য মোটেও শোভন নয়; একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে তার আরও সতর্ক থাকা উচিত।