ক্রিস্টিন ও রেবেকা ভ্যানস নামের দুই বোন ও ভ্যানসের ১৪ বছর বয়সী ছেলের দেহাবশেষ একটি প্রত্যন্ত ক্যাম্পসাইটে পাওয়া গেছে। মৃত কিশোরের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গুনিসন কাউন্টির করোনার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নিহতরা সম্ভবত অনাহারে অথবা অধিক ঠাণ্ডায় মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারটি গত গ্রীষ্মে ক্যাম্প বসবাস শুরু করার পর শীতকালে মারা গিয়েছে।
রেবেকা ভ্যানসের সৎ বোন ট্রেভালা জারা বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘বিশ্ব যেভাবে চলছে তা তার পছন্দ হয়নি। ভ্যানস ভেবেছিলেন তিনি, তার ছেলে ও ক্রিস্টিন যদি কোলাহল থেকে দূরে একা থাকেন তবে তা আরও ভাল হবে।’
জারা অ্যামেরিকান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৪০ বছর বয়সী দুই বোনের প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। তারা কলোরাডোর দুর্গম এলাকায় কীভাবে বেঁচে থাকা যায় সে সম্পর্কে জানতে অনলাইনে ভিডিও দেখেছেন।
কলোরাডো স্প্রিংস গেজেটকে জারা বলেন, ‘ইন্টারনেটে প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকতে হয় সে সংক্রান্ত ভিডিও দেখে সেখানে গিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন না। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে এটি অসম্ভব। তারা অনাহারে মারা গিয়েছে কারণ তারা প্রস্তুত ছিল না।’
মৃত তিনজনের বাড়িই কলোরাডো স্প্রিংসে। তদন্তকারীরা বলছেন, তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। টক্সিকোলজি রিপোর্ট পাওয়ার পর তাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেয়া হবে।
গুনিসন কাউন্টির করোনার মাইকেল বার্নেস জানিয়েছেন, গুনিসন ন্যাশনাল ফরেস্টের প্রায় ৯,৫০০ ফুট উচ্চতায় গোল্ড ক্রিক ক্যাম্পগ্রাউন্ডের একটি তাঁবুতে ৯ জুলাই এক পর্বতারোহী তাদের পঁচে যাওয়া দেহাবশেষ দেখতে পান। পরিবারের দুইজনের মৃতদেহ তাবুর ভেতর ও একজনের মৃতদেহ বাইরে দেখতে পান তিনি।
বার্নেস বলেন, ‘শীত কাল দ্রুত ও হুট করে চলে আসায় তারা টিকে থাকার জন্য তাঁবুতে চলে এসেছিল। তাদের কাছে ঘরের বাইরে টিকে থাকার ও শিকার করার প্রচুর জিনিসপত্র ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল তারা মুদি দোকানে আছেন।’
জারা গেজেটকে বলেন, ‘আমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা শোনেনি। তারা তাদের মন ঠিক করেই এসেছিল।’