জেইন আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি… ইকোওয়াস আমাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে এখানে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
ইকোওয়াসের শীর্ষ সম্মেলনে সদস্যভুক্ত দেশগুলো নাইজারের গণতান্ত্রিক নেতা মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্ত করে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপে সম্মত হওয়ার ঘোষণার পর তাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয় নাইজারের বর্তমান সামরিক সরকার।
নাইজারের প্রতিবেশী দেশ নাজেরিয়ার কূটনীতিক শেইখ আব্দুল্লাহি বালা লাউ রোববার নাইজারের অন্তর্বর্তী সামরিক সরকারের প্রধান জেনারেল আব্দুরাহমানে চিয়ানির সঙ্গে বৈঠক শেষে ওই ঘোষণা দেন।
লাউ বলেন, ‘নাইজার ইকোওয়াস নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইকোওয়াস কর্তৃপক্ষ চায়, আলোচনার স্থান নাইজার নির্বাচন করুক।’
নাইজেরিয়ার প্রতিনিধি দলের প্রধান লাউয়ের মতে, নাইজারে বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনাকারীদের জন্য ইকোওয়াসের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি সুযোগ দিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে একে অপরকে বোঝার প্রয়োজন।’
তার দাবি, চিয়ানির সঙ্গে বেশ কয়েক ঘন্টার আলোচনায়, চিয়ানি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানটি সুপরিকল্পিত ছিল’।
লাউ জানান, ইকোওয়াস জোট ‘অভ্যুত্থানের বিষয়ে তাদের পক্ষের কোনো বক্তব্য’ না শুনেই দেশটিতে বহির্বিশ্ব সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয়ায় অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত নেতারা হতাশ হয়েছেন।
এদিকে অভ্যুত্থানের নেতারা রোববার বলেছেন, বাজুম ও তার ‘দেশি-বিদেশি সহযোগীদের’ বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও নাইজারের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা দুর্বল করার’ অভিযোগে মামলা করা হবে।
এর আগে দেশটিতে বহির্বিশ্বের সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় তারা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইকোওয়াস সামরিক অভিযান শুরু করলে বাজুমকে হত্যা করা হবে।
তবে হুমকির পরেও একটি সামরিক দলকে যেকোনো সময় নাইজারে অভিযানের জন্য স্ট্যান্ড বাই রাখার কথা জানিয়েছে ইকোওয়াস।
নাইজারের অভিজাত প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সঙ্গে আলোচনা ভেঙে যাওয়ায় গত ২৬ জুলাই পিজি সদস্যদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে পরিবারসহ প্রেসিডেন্সিয়াল ভবনে আটক করা হয়।