ফেসবুকে হয় না ক্ষতি মনের

টিবিএন ডেস্ক

আগস্ট ১৩ ২০২৩, ১২:৫৮

ফেসবুকে হয় না ক্ষতি মনের
  • 0

ফেসবুক চালানোর সঙ্গে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির সম্পর্ক খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় বিশ্বব্যাপী ৭২টি দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের সঙ্গে ব্যাপক মানসিক ক্ষতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রয়্যাল সোসাইটির প্রকাশিত অক্সফোর্ডের গবেষণায় ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭২টি দেশের প্রায় ১০ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

সাধারণভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে ধারণা থাকলেও অধ্যাপক অ্যান্ড্রু প্রিজিবিলস্কি এবং অধ্যাপক ম্যাটি ভুওরের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের গবেষণায় এর কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘একাডেমিক এবং জনপ্রিয় সব লেখায় সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক ফলাফলের কথা সাধারণত বলা হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতির প্রভাবগুলো বাস্তবের চেয়ে বেশি অনুমাননির্ভর।’

গবেষণায় উল্টো বলা হচ্ছে, ফেসবুক ব্যবহার করে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা নেয়া যেতে পারে।

প্রিজিবিলস্কি বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ডেটা সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করেছি। এতে দেখতে পেয়েছি নতুনরা ফেসবুকের ক্ষতির বিষয়টি সঠিক বলে মনে করেন না। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয় ফেসবুক সম্ভবত ইতিবাচক কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত।’

প্রিজিবিলস্কি যোগ করেন, ‘এর মানে এই নয় যে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের জন্য পুরোটাই কল্যাণকর। বরং বলা যেতে পারে বৈশ্বিক অ্যাপটি নিয়ে মানুষের ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। তারা মনে করেন না যে এই অ্যাপটি বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে নেতিবাচক বৈশ্বিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’

প্রায় তিন বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুক এখনও মেটার সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

গবেষণার সহ-লেখক ভুওরে বলেন, ‘নতুন গবেষণায় আমরা প্রথমবারের মতো বিশ্বজুড়ে জরিপ চালিয়েছি। ফেসবুক এ গবেষণায় কোনো তহবিল না দিলেও তারা ডেটা সরবরাহ করে সহযোগিতা করেছে।’

গবেষকরা ফেসবুকের সম্ভাব্য ভালো-খারাপের দিকটে ভালোভাবে বোঝার সুস্থতার তিনটি সূচক পরিমাপ করেছেন। এগুলো হলো জীবনের সন্তুষ্টি, নেতিবাচক এবং ইতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা।

তারা ফেসবুক ব্যবহারের নেতিবাচক দিকের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি। অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুক এবং সুস্থতা সূচকগুলোর মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক ছিল।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে ফেসবুকের বিভিন্ন কনটেন্ট গ্রহণ এবং সুস্থতার মধ্যে সম্পর্ক নারীদের তুলনায় পুরুষের জন্য কিছুটা বেশি ইতিবাচক ছিল।

ভুওরে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘিরে বিতর্ককে আরও অভিজ্ঞতামূলক গবেষণার ভিত্তির দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে। আধুনিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে, কখন এবং কেন তাদের ব্যবহারকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে তা আরও ভালোভাবে নির্ধারণের জন্য আমাদের স্বাধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যে বিশদ স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রয়োজন।’