
বাংলাদেশে নির্বাচনে অনলাইনেও জমা দেয়া যাবে মনোনয়নপত্র

টিবিএন ডেস্ক
আগস্ট ৯ ২০২৩, ১৫:৪৭

- 0
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অনলাইনে মনোনয়ন জমার ব্যবস্থা রাখতে নভেম্বরের মধ্যে চালু করা হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ।
ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী অফলাইন, অনলাইন দুভাবেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
‘তফসিলের আগে নির্বাচনি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করতে হবে, তা না হলে এটা চালু করলাম কেন? অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাসহ নানা বিষয় এ অ্যাপে থাকবে। যে অবস্থায় রয়েছে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না, নভেম্বরে চালু করতে পারব। অ্যাপ আমরা নভেম্বরে চালু করব।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু অনলাইন রাখতে গেলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অনলাইন এখন আমরা চাইলেও হবে না। আমরা চিন্তা করছিলাম সব নির্বাচনের জন্যই যাতে এটা প্রযোজ্য হয়। তবে এটা বাধ্যতামূলক করার সুযোগ নেই। কারণ আইনে সংশোধন আনতে হবে। তাই বাধ্যতামূলক করতে আমরা যাচ্ছি না।
‘অনলাইনে মনোনয়নপত্র দেয়ার সুযোগটা এজন্য করা হয়েছে যাতে কেউ কোনো বাধার সম্মুখীন না হন। আমরা অনলাইনে জমা দেয়ার জন্য উৎসাহিত করব। কেননা, ঘরে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে।’
নির্বাচনি অ্যাপসে আর কী থাকবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত সম্পর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি হবে ওটা। মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলে অনেক বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে। ডকুমেন্ট স্ক্যান করে দিতে হবে।
‘নির্বাচনি কেন্দ্রগুলোর নামের তালিকা ও ছবি থাকবে। কে কোথায় কোন কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন। এনআইডি নম্বর দিয়ে অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এতে গুগল ম্যাপেও ভোটার তার ভোটকেন্দ্র দেখতে পারবেন।’
তিনি জানান, এই অ্যাপে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা থাকবে। দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর ভোট পড়ার হার জানানো হবে। ১০টা, ১২টা, ২টা ও বিকেল ৪টায় আপডেট থাকবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রভিত্তিক ফল দেখা যাবে। বেসরকারি ফলাফলও দেখা যাবে।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অ্যাপসের ফলে নির্বাচনে সহিংসতা বা শক্তি প্রদর্শন কমে আসবে। ভোটাররাও সহজেই কেন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রার্থীও কত ভোট পড়েছে জানতে পারবেন। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ম্যানুয়ালি করতে হয়, এতে অনেক সময়ের ব্যয় হয়। এটা কমে আসবে।’
ইসি বলেন, ‘এই নির্বাচনের পরে যেন আরেকটি নির্বাচনেও এই অ্যাপস ব্যবহার করা যায়, আমরা সেজন্য ছয় বছর মেয়াদি এই উদ্যোগ নিচ্ছি। পরবর্তী কমিশন এসে কী করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা, এতে অর্থ ব্যয়ের বিষয় আছে। সব নির্বাচনেই আমরা এই অ্যাপস ব্যবহার করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এটির কার্যক্রম শুরু হবে। নভেম্বরে এটা আমরা চালু করব।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা হার্ডওয়্যারের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। আর সফটওয়্যাট যারা দেবে তাদের সঙ্গে আমাদের ছয় বছরের চুক্তি থাকবে। ইসির যে ডেটাবেজ আছে সেখান থেকেই মূল তথ্যগুলো এই অ্যাপে আসবে।’