অভিবাসন প্রত্যাশী চারজন ইউরোপে যাওয়ার আশা নিয়ে শুরু করা যাত্রার দশম দিনে তাদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ওপেমিপো ম্যাথিউ ইয়ে তাদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, ‘স্রষ্টাকে ধন্যবাদ। এটা আমার জন্য এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ছিল। এই প্রথম আমি পালানোর চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমি চলে যাওয়ার জন্য মনস্থির করে ফেলেছিলাম, তাই আমি কেবল সাহস সঞ্চয় করেছি। তারপরও এটা সহজ নয়। সাগর, জাহাজ সব কাঁপছিল। আমি খুব ভয় পাচ্ছিলাম।’
এদের মধ্যে দুইজন নাইজেরিয়ায় ফেরত যাওয়ার অনুরোধ করায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইয়ে ও রোমান এবিমেন ফ্রাইডে নামের আরেক ব্যক্তি ব্রাজিলে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।
ফ্রাইডে বলেন, ‘আমি ব্রাজিল সরকার এবং কাসা দো ইমাইগ্রেন্টের কাছে প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার প্রতি করুণা করে, আমার প্রতি দয়া করে, আমার জন্য একটা ভাল চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়।’
তাদের দুইজনই অর্থনৈতিক দুর্দশা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং অপরাধের কারণে তাদের জন্মভূমি নাইজেরিয়া ত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন।
ফ্রাইডে জানান, গত ২৭ জুন ব্রাজিলের দিকে তার যাত্রা শুরু হয়। এক জেলে বন্ধু তাকে লাগোসে অবস্থানরত লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী কেন ওয়েভে নিয়ে যান এবং রাডারে রেখে যান। সেখানে অবাক হয়ে তিনি দেখতে পান আরও তিনজন সেখানে রয়েছে। তারাও জাহাজটি ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, তিনি তার নতুন জাহাজের সঙ্গীদের সঙ্গে এর আগে কখনও দেখা করেননি। তিনি ভয়ে ছিলেন যে, তারা যে কোনো মুহুর্তে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিতে পারে।
জাহাজটি ছেড়ে যাওয়ার সময় চার ব্যক্তি জাহাজের ক্রুদের ফাঁকি দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। পাশাপাশি এ যাত্রায় তাদের সলিল সমাধি হতে পারে বলেও তারা চিন্তায় ছিলেন।
নাইজেরিয়ান চার ব্যক্তি জানান, তারা ইউরোপে পৌঁছানোর আশা করেছিলেন। আটলান্টিক মহাসাগরের অপরপাশে ব্রাজিলে অবতরণের কথা জেনে তারা হতবাক হয়ে যান।