
ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা

টিবিএন ডেস্ক
জুলাই ২৯ ২০২৩, ১১:৪৬

ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি: ইউএনবি
- 0
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে শনিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ ও যানবাহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচি থেকে অন্তত ৯০ জনকে আটকের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য শনিবার সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে জড়ো হলে ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ ও গাবতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ধোলাইখালে বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কের একপাশে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী শ্লোগান দেন।
পুরান ঢাকার নয়াবাজারে বিএনপির এই কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে তারা নয়াবাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ধোলাইখাল এলাকায় জড়ো হন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখাল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে, অবশ্য দুপুরের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী বাসস্টেশন থেকে আটক করে পুলিশ। বেলা ১১টার দিকে আমান নেতাকর্মীদের নিয়ে খালেক পরিবহনের বাস কাউন্টারের সামনে জড়ো হন। তার কাছেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ আমান ও বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। আমান প্রত্যাখ্যান করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
এক পর্যায়ে আমান মাজার রোডের নাবিল পরিবহনের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আমানকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির আরও ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়া আমানউল্লাহ আমানকে পরে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে পুলিশ।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির কয়েক শ’ নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালের কাছে জড়ো হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট এবং জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে কয়েকজন আহত হন।
এ ছাড়া শনির আখড়া ও রায়েরবাগ এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ।
উত্তরায় বিএনএস সেন্টারের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় জড়ো হয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী এবং সাংবাদিক আহত হন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে গাবতলী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মিছিলে আওয়ামী লীগ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।