থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের অক্টোবরের পর চালের দাম সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এশিয়ান বেঞ্চমার্কে থাই আতপ চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি চালের দাম এক লাফে ৬৪৮ ডলারে পৌঁছেছে।
ভারত জুলাইয়ের শেষের দিকে আতপ চালের রফতানিতে বিধিনিষেধ দেয়ার পর দাম বৃদ্ধির এ ঘটনা ঘটে। ভারতে ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে ৩০ শতাংশ চালের দাম বেড়েছে। তাই দেশটির সরকার জানিয়েছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ চালের দাম স্থিতিশীল রাখতেই তারা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এশিয়া ও অ্যাফ্রিকার বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের জন্য চাল অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য।
ভারতের পর সবচেয়ে বেশি চালের যোগান দিয়ে থাকে থাইল্যান্ড। তবে থাইল্যান্ডের চাল রফতানিও এখন হুমকির মুখে। ধান উৎপাদনে প্রচুর পানির দরকার পড়ে। এজন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ কৃষকদের এমন ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করছে যেগুলোতে কম পানির প্রয়োজন হয়।
থ্যাইল্যান্ডে একইসঙ্গে ধানের উৎপাদনও কমেছে। এল নিনোর কারণে ২০১৫-১৬ তে সেখানে ধানের উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। দেশটি এখন প্রতি বছর ১৬ শতাংশ করে ধানের আবাদ কমাচ্ছে। গ্রো ডেটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ধান উৎপাদনকারী অঞ্চলে গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৩ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট চারোয়েন লাওথামাতাস জানিয়েছেন, এ বছরের প্রথম সাত মাসে থাইল্যান্ডে ৪.৮ মিলিয়ন টন ফসল রফতানি করেছে। গত বছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৭.৭১ মিলিয়ন টন।
এর ফলে বিশ্বব্যপী যেসব দেশের নিজস্ব চালের মজুত নেই তারা বিপদে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।