ম্যানগ্রুম বলেন, ফৌজদারি অভিযোগের ভয় ছাড়াই চিকিৎসকরা যেন জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে পারেন সেজন্য অবশ্যই গর্ভপাত আইনে ছাড় দিতে হবে।
আদেশের নথিতে বলা হয়, ‘যে নারীদের গর্ভধারণে মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে বা স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের কাছে টেক্সাসের ছয় সপ্তাহ পর গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার কারণে আর কোনো বিকল্প থাকে না।’
গত মাসে টেক্সাসের অসংখ্য নারী অভিযোগ করেন, অ্যাবরশন আইন তাদের অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণে বাধ্য করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক ‘প্রয়োজনে’ অ্যাবরশন আইন শিথিলের আদেশ দেন।
স্যামান্থা ক্যাসিয়ানো নামের এক নারী জানান, গর্ভাবস্থায় তার অ্যানসেফালি রোগ ধরা পড়ার পরেও তাকে গর্ভাবস্থা চালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। তিনি এরপর বিরল জন্মগত ত্রুটিসহ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির মাথার খুলি ও মস্তিষ্কের কিছু অংশ ছিল না। জন্মের চার ঘণ্টা পরই সে সন্তান মারা যায়।
অবশ্য স্টেইটের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণের জন্য অ্যাবরশন আইনের অধীনে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত ব্যতিক্রম রয়েছে। শুধু আইনটির ভুল ব্যাখ্যার জন্য ডাক্তারদের দোষারোপ করা হচ্ছে।
ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রেন্ট ওয়েবস্টার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে আপিলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে এই আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘টেক্সাস সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত টেক্সাসের গর্ভপাত আইন বাতিল করার প্রচেষ্টা স্থগিত থাকবে।’
ফলে বিচারক ম্যানগ্রুমের আদেশে স্টেইটের অ্যাবরশন ক্লিনিকগুলোতে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। অ্যাবরশন আইনের কারণে স্টেইটের সব গর্ভপাত ক্লিনিকগুলো গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।